দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হননি এসিল্যান্ড (কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার,ভূমি) শাহরিয়ার মক্তার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পখ্যাত কক্সবাজার ভূ-উপরস্থ পানি শোধনাগার স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়,২ -এ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হলেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এবং অনিয়মের সাথে জড়িত নন উল্লেখ করে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন শাহরিয়ার মক্তার। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শাহরিয়ার মক্তার ইতোমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চট্টগ্রাম বিআরটিএতে বদলি হয়েছেন বলে জানিয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিস।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার ভু-উপরস্থ পানি শোধনাগার স্থাপন প্রকল্পের প্রস্তাবিত ভূমি পৌর মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান নিজের স্ত্রী ও শ্যালকের নামে কিনে নেয়। এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের সময়েই সরকারি স্বার্থের জমি কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও শ্যালকের নামে নামজারি করে দেন কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মক্তার। এর মাধ্যমে পানি শোধনাগার প্রকল্পের ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও শ্যালক ৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। এরপর ওই টাকার মধ্যে শ্যালক মিজানুর রহমানের ব্যাংক হিসেব থেকে ৪ কোটি টাকা জব্দ করে দুদক। এছাড়া কক্সবাজারে পিবিআই অফিস নির্মাণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণেও একই কায়দায় একজনের জমি অন্যজনের নামে অবৈধভাবে নামজারি করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শাহরিয়ার মক্তারের বিরুদ্ধে। ওই প্রকল্পেও ১৭ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের সুযোগ হয়েছে অপরাধীদের।