সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক এখন থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মামলায় লড়বেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের পরিচালক (প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ ইকবাল বাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুদকের পক্ষে ‘কেইস টু কেইস ভিত্তিতে’ মামলা পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে শাহদীন মালিককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য তিনি নির্ধারিত হারে কেইস টু কেইস ভিত্তিতে মাসিক সম্মানি প্রাপ্য হবেন। এই দায়িত্বে থাকাকালে দুদকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। খবর বিডিনিউজের।
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে কাজের মূল্যায়ন করে তার নিয়োগ বহাল রাখা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে দুদক। প্রয়োজনে কমিশনের অনুসন্ধান/তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এজাহার প্রস্তুত ও চার্জশিট দাখিলে সহযোগিতা করতে হবে। এ নিয়োগ সম্পূর্ণ অস্থায়ী এবং কোনো কারণ না দেখিয়েই কমিশন যে কোনো সময় নিয়োগ বাতিল করতে পারবে।
দুদক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্যানেল আইনজীবী ও পিপি নিয়োগ দিয়ে থাকে। কমিশনের ওয়েবসাইটে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পিপি নিয়োগের জন্য ১০ বছর মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ন্যূনতম ১০টি মামলা নিষ্পত্তির শর্ত দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের জন্য হাই কোর্ট বিভাগে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০টি মামলা নিষ্পত্তির শর্ত রয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের ক্ষেত্রে এ শর্ত কিছুটা শিথিল। তবে রাজনৈতিক দলের পদে থাকা, সাজাপ্রাপ্ত হওয়া বা ঋণ খেলাপি হলে তারা অযোগ্য বিবেচিত হবে।
