যুক্তরাষ্ট্রে আলামত পাঠিয়ে দুই সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনা মিললেও তাদের শনাক্ত করতে না পারায় আটকে আছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত। এ মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আল মঈন বলছেন, সন্দেহভাজন দুজনের পরিচয় বেরিয়ে এলেই তাদের তদন্ত এগিয়ে যাবে। তবে সেটা কবে নাগাদ সম্ভব, তার কোনো ধারণা তিনি দিতে পারেননি। প্রায় ১২ বছর আগের এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে গতকাল সোমবার শততম বারের মত সময় বাড়িয়েছে আদালত। এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখপাত্র মঈন। খবর বিডিনিউজের।
র্যাব ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে’ এ মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, নির্দোষ কেউ যেন কোনোভাবে অভিযুক্ত হিসেবে জড়িয়ে না যান, সেই ব্যাপারটিও তদন্তে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তারা। মঈন বলেন, তদন্ত তদন্তই। সাংবাদিক দম্পতি সাগর–রুনি হত্যার তদন্তের দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছিল আদালতের নির্দেশে। আমরা মনে করি তদন্তকালীন সময়ে, অর্থাৎ আমরা যখন তদন্ত প্রতিবেদন দেব, তখন কোনোভাবেই যেন কোনো নির্দোষ বা নিরাপরাধ ব্যক্তি ভিক্টিমাইজড না হয়।
এ বিষয়টি মূলত আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি। আমরা এই হত্যাকাণ্ড সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমরা তদন্ত করছি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।
মঈন বলেন, আপনারা জানেন যে খুব কম হত্যাকাণ্ডের আলামত কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার আলামত আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে পরীক্ষার জন্য পাঠাই। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই কিন্তু আমরা পাঠিয়েছিলাম। আমরা আনুমানিক ২৫ জনের, যাদের প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয়েছিল, তাদের ডিএনএ আলামত পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা যে প্রতিবেদনটি পেয়েছি সেটি, আমরা পরীক্ষা করছি। এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেই ল্যাব থেকে আমরা যে প্রতিবেদন পেয়েছি সেটি যাচাই–বাছাই করে সেখানে আমরা দুজনকে পেয়েছি। ডিএনএ পরীক্ষা থেকে যে দুজন সাসপেক্ট পাওয়া গেছে তাদের আমরা এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। এটার ব্যাপারেই মূলত আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রতিবেদনটি এসেছে তার মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে কারা জড়িত তা বলার মত তথ্য আমরা পাইনি। এ বিষয়টি যখন আদালতে ডেট পরে, তখন আমরা আদালতে উপস্থাপন করি।