দুই যুগ ধরে পরিত্যক্ত টেনিস কোর্ট এখন পরিণত হচ্ছে বাস্কেটবল কোর্টে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৬ জুন, ২০২৪ at ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

আজ থেকে ২৪ বছর আগের কথা। সেই ২০০০ সালে সাগরিকাস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়াম (যার বর্তমান নাম জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) এর পাশে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয়েছিল চারটি আন্তর্জাতিক মানের টেনিস কোর্ট। গ্যালারী, ফ্লাড লাইট, উন্ন ড্রেসিং রুম সুবিধা সম্বলিত এই টেনিস কমপ্লেক্সে গত ২৪ বছরে একটিবারের জন্য টেনিস খেলা হয়নি। ফলে এক পর্যায়ে অনেকটা পতিত জমিতে পরিনত হয়ে টেনিস কোর্ট গুলো ভেঙ্গে পড়ে ফ্লাড লাইটের খুটি। গ্যালারীতে গজিয়ে উঠে ঘাস। ড্রেসিং রুম, পরিণত হয় ভুতুড়ে বাড়িতে। পরবর্তীতে সে ড্রেসিং রুমে বিসিবির কিছু কর্মচারী বসবাস করতে থাকে। কিন্তু টেনিস কোর্ট গুলো একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় দুই যুগ পর আবার সে টেনিস কোর্ট গুলোর একটিকে পরিণত করা হচ্ছে বাস্কেটবল কোর্টে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাথে সমঝোতা করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা এক নাম্বার কোর্টটিকে বাস্কেটবল কোর্টে পরিনত করছে। এরই মধ্যে কোর্টের উপরের আস্তর ফেলে দিয়ে নতুন করে আস্তর দেওয়া হয়ে গেছে। দুপাশে বাস্কেট স্থাপনের জন্য একেবারে পাকা করে স্ট্যান্ডও তৈরি হয়ে গেছে। টেকসই হওয়ার জন্য বাস্কেটের স্ট্যান্ড পাকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিজেকেএস এর এক কর্মকর্তা। গ্যালারীর একাংশ পরিষ্কার করে এরই মধ্যে রং করানো হয়ে গেছে। আবারো সেখানে রং কার হবে। আসল কাজ হচ্ছে কোর্টের ফ্লোর থৈরি করা এবং বাস্কেটের জন্য খুটি তৈরি করা সে দুটি কাজ প্রায় শেষ। এখন কেবল ফিনিশিং চলছে। আশা করা হচ্ছে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এই কোর্টটি চালু করা হবে। আর এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্কেটবল খেলার জন্য সুন্দর একটি কোর্ট পাওয়া যাবে।

্‌এতকাল চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাদের বাস্কেটবল খেলা আয়োজন করতো নিজেদের জিমনেসিয়ামে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ইভিএম মেশিন রয়েছে সেই জিমনেসিয়ামে। ফলে প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ জিমনেসিয়াম। আর এই সময়ে কোন বাস্কেটবল লিগ বা টুর্নামেন্ট করতে পারেনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এই কোর্টটি চালু হলে বড় একটি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কোর্টটির কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর এবং এনামুল হক। বাস্কেটবল কমিটির নব নিযুক্ত সম্পাদক প্রসেনজিত দত্ত রাজু, খো খো কমিটির সম্পাদক সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, ক্রিকেটের ডেভেলপম্যান্ট কমিটির সম্পাদক শওকত হোসাইন এবং কাউন্সিলর ওয়াসিম কামাল রাজা। প্রসেনজিত দত্ত রাজু জানান এই কোর্টটি চালু হয়ে গেলে আমরা নিশ্চিন্তে বাস্কেটবল ইভেন্টটা নিয়মিত করতে পারব। তিনি বলেন সামনে একাধিক টুর্নামেন্ট, লিগ, স্কুল টুর্নামেন্ট, মহিলা টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। যা ক্রীড়াপঞ্জিতেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কাজেই সে জণ্য আমাদের সবার আগে যেটা দরকার তা হচ্ছে একটি সুন্দর কোর্ট। আর সেটা আমরা পেয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন কোর্টের কাজ প্রায় শেষ। আশা করছি শীঘ্রই খেলা শুরু করতে পারব। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় সুন্দর একটি কোর্ট পাচ্ছে বাস্কেটবল। যেহেতু প্রায় দুই যুগের পুরানো একটি কোর্টকে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে সেহেতু এখানে ড্রেসিং রুম, টয়লেট সুবিধা সব সংস্কার করতে হবে। কারন এসব ইভেন্টে ড্রেসিং রুম এবং টয়লেট সুবিধা খুব বেশি দরকার।

ঐ কমপ্লেক্সে আরো তিনটি কোর্ট রয়েছে। সে তিনটি কোর্টকে কি করা হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা। যেহেতু এগুলো টেনিস কোর্ট সেহেতু একটি কোর্ট টেনিসের জন্য এবং বাকি দুটি কোর্ট অন্য দুটি ইভেন্টের জন্য প্রস্তুত করা হলে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠ কিংবা জিমনেসিয়ামের উপর অনেক চাপ কমে যাবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবার শীর্ষে ফিরলেন সাকিব
পরবর্তী নিবন্ধশিল্পী অর্ক দাশের সাথে বৈঠকি আড্ডা