বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত রোববার মধ্যরাত থেকে ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে। ফলে দুই মাস পর বাজারে এসেছে সামুদ্রিক মাছ। জেলার মৎস্য অবতরণকেন্দ্রসহ জেলেপল্লীগুলোতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
ট্রলার মালিকরা জানান, রোববার রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে কক্সবাজারের জেলেরা সাগরে রওয়ানা দেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের প্রায় ৪০% ভাগ ট্রলার সাগরে গেছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ। তিনি জানান, রসদ কেনার টাকা না থাকায় অনেক ট্রলার মালিক এখনও তাদের ট্রলার সাগরে পাঠাতে পারেনি। বেশিরভাগ ট্রলার মালিক ঋণ নিয়েই এখন ফিশিং ব্যবসা করছে। দরিয়ানগর বোট মালিক সমিতির সভাপতি নজির আলম বলেন, কলাতলী ও দরিয়ানগর ঘাটের ছোট বোটগুলো রোববার মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার পরই মাছ ধরতে রওয়ানা দেয় এবং গতকাল ভোরে মাছ ধরে পুনরায় ঘাটে ফিরে আসে। ফলে গতকাল সকাল থেকেই কঙবাজারের মানুষ ফের সাগরের তাজা মাছের স্বাদ নিতে পারছেন।
কক্সবাজার ও শহরতলী ছাড়াও উখিয়ার ইনানী, পাটুয়ারটেক, রেজু ঘাটঘর, মনখালী ও টেকনাফের শাপলাপুর বাজারে গতকাল থেকে সামুদ্রিক মাছ আসছে বলে জানান শামলাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বাজার কমিটির সভাপতি মাস্টার এমএ মনজুর।
কঙবাজার ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, ফিশারীঘাটসহ জেলার অন্যান্য জেলেপল্লীগুলোতে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তবে সোমবার (গতকাল) থেকে ছোট মাছগুলো বাজারে পাওয়া গেলেও ইলিশ পেতে আরো ৫/৭ দিন সময় লাগবে।