নগরীর আউটার স্টেডিয়ামের হারানো জৌলুস ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এরই মধ্যে আউটার স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করে তুলতে দরপত্র সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন কেবল কাজ শুরুর অপেক্ষা। আর সে কাজের সূচনাটাও করে দিলেন জেলা প্রশাসক। গতকাল সকালে আউটার স্টেডিয়ামের উত্তর–পশ্চিম প্রান্তে এই ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সে সব আয়োজন রাখতে চাই। একইসঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই। এজন্য শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই আউটার স্টেডিয়ামে খেলেই আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেক খেলোয়াড় উঠে এসেছে। খেলোয়াড় সৃষ্টির জন্য আবারো এই আউটার স্টেডিয়াম ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা করেন তিনি। আউটার স্টেডিয়াম ছাড়াও নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠটাকে কেবলই খেলাধুলার কাজে ব্যবহার করতে চান জেলা প্রশাসক। এজন্য আন্তঃ মন্ত্রণালয় সহ সরকারের উপর মহলের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং মাঠটি পুরোপুরি খেলাধুলার উপযোগী কার প্রত্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি। বিশেষ করে চট্টগ্রামে কোন অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নেই। এই পলোগ্রাউন্ড মাঠে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক স্থাপন করতে চান তিনি। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন স্কুল–কলেজসহ অন্যান্য মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়া মহিলাদেরকে খেলাধূলা ও অনুশীলনের জন্য একটি স্বাতন্ত্র মাঠ তৈরি করতে চান তিনি। এজন্য এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠকে তৈরি করতে চান তিনি।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সিজেকেএস সহ–সভাপতি রাকিব হাসান, সিজেকেএস সহ–সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, সিজেকেএস সহ–সভাপতি এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সহ–সভাপতি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল বশর, গোলাম মইউিিদ্দন হাসান, নাসির মিয়া, হারুন–আল রশিদ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভাগীয় উপ–পরিচালক মোঃ আসলাম হোসেন খান সহ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এর মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম এবং বসার জায়গা থাকবে। এদিকে বিসিবির কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু জানিয়েছেন মাঠে চার ফুট মাটি ভরাট করতে হবে। এরপর ঘাস লাগানো হবে। মাঠের চার পাশের ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নতি করতে হবে। না হয় মাঠের বালি চলে যাবে। সবচাইতে বড় যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে এই মাঠ তৈরির পর সেটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ঠিক মত। না হয় মাঠ ঠিক রাখা যাবেনা।