দুই বোন আত্মসাৎ করেন ৬৪ কোটি টাকা

দেশত্যাগে চেষ্টা, পি কে হালদারের সহযোগীর দুই মেয়ে গ্রেপ্তার

| বৃহস্পতিবার , ২৫ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ভারতের কারাগারে বন্দি পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে। খবির উদ্দিনের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে তার দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদের (৩৭) নামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন ৬৪ কোটি। দুই বোন প্রায় ২০ বছর ধরে কানাডায় অবস্থান করছেন। গতকাল বুধবার ভোররাতে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। একমাস আগে ঢাকায় এসে আত্মগোপনে থেকে তারা কানাডায় ‘পালিয়ে যাচ্ছিলেন’ বলে র‌্যাবের ভাষ্য। খবর বিডি/বাংলানিউজের।
র‌্যাব বলছে, প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের এই দুই সহযোগী ২০০৩ এবং ২০০৪ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করেন। আদালতের নিষেধ ভেঙে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনায় ভোররাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দরে পৌঁছান শারমিন ও তানিয়া। আটকের পর তারা নাম পরিচয় গোপান করারও চেষ্টা করেন। দুজনের মধ্যে শারমিন আহমেদের নামে ৩১ কেটি ও তানিয়া আহমেদের নামে ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
যেসব শর্তে মুক্ত হবেন গ্রেপ্তার দুই বোন : ঋণ খেলাপির দায়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের গ্রেফতার দুই মেয়ে মুক্তি পাবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এর জন্য কয়েকটি শর্ত দিয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। গতকাল বুধবার খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করে র‌্যাব। আদালতে দুই মেয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবু তালেব। পিপলস লিজিংয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
পরে মেজবাহুর রহমান জানান, গ্রেফতার দুজনের পাসপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তাদের পারিবারের বাকি ৯ সদস্যের মধ্যে যাদের পাসপোর্ট আছে তারা তাদের পাসপোর্ট র‌্যাবের কাছে জমা রাখবেন। পাসপোর্ট জমা দিলে র‌্যাব গ্রেফতার এ দুজনকে ছেড়ে দেবে। আর যাদের পাসপোর্ট নাই তারা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, ঠিকানা হলফনামা করে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে আইনজীবীর মাধ্যমে। আর তাদের কাছে যে টাকাটা (১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬২ টাকা) পিপলস লিজিং পায় তার ৫ শতাংশ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। গ্রেফতার দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ ছাড়া পরিবারে বাকি ৯ সদস্য হলেন খায়রুল হাসান, কোহিনূর মাতবর, মাসুদ মাতবর, মো. আব্দুস সোবহান, আতাউর রহমান, শিরিণ আহমেদ, সোনিয়া আহমেদ, শহিদুজ্জামান ও আশরাফ খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ইসির নিজস্ব : সিইসি
পরবর্তী নিবন্ধরিভার বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে আটকে স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ