আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে দুই বছর পর বাঁশখালী গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেয়েছেন মো. লেয়াকত আলী। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসিফের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ মো. লেয়াকত আলীকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহালের আদেশ দেন। লেয়াকত আলীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও মুহম্মদ মিজানুর রহমান। লেয়াকত আলী নবগঠিত কমিটির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
জানা যায়, বিগত দিনে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও ২০২২ সালের ১৫ জুনের নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. লেয়াকত আলী। বাঁশখালী সরকারি আলাওল ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির এক সভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহর সুপারিশে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে সেখানে ইউপি সদস্য মো. ওসমান গণীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এদিকে চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ার বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় লেয়াকত আলী বলেন, আমাকে মিথ্যা অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। মহামান্য হাইকোর্ট সেই আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় আমাকে একটি শোক’জ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, যার লিখিত জবাবও দিয়েছিলাম। ন্যায়বিচার হলে তখনই আমার পদ ফিরে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে পদে বহাল বা স্থায়ী বরখাস্ত কোনটিই না করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আজকের রায়ে আমি সন্তুষ্ট।