তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে নামার সিদ্ধান্তটা খুব বেশি কাজে আসেনি বাংলাদেশের। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে আরকেজন পেসার থাকলে হয়তো আরো কম রানে আটকানো যেতো দক্ষিন আফ্রিকাকে। তেমন মন্তব্য শুনে পেসার হাসান মাহমুদ মজার ছলে বললেন দুই পাশ থেকে আমি বল করলে আরও ভালো হতো। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, আরেকজন বাড়তি পেসার একাদশে থাকলে ভালো হতো কি না। প্রতিপক্ষের জন্য মিরপুর যে স্পিন ফাঁদ হবে, তা ছিল অনেকটা প্রত্যাশিত। একাদশেও তাই ছিলেন তিন স্পিনার। কিন্তু পেসার কেবল হাসান মাহমুদই। স্বস্তি অবশ্য পাননি তিনি। তাকে দিয়েই ১৯ ওভার বল করাতে হয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। তার চেয়ে বেশি বল করেছেন কেবল তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ দলকে আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। তিন উইকেট পেয়েছেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা নিয়েছেন ছয় উইকেট। বাংলাদেশের কি আরেকজন পেসার বাড়তি থাকা দরকার ছিল? গতকাল মঙ্গলবার মিরপুরে হাসান মাহমুদ বলেন আমার মনে হয় সবার দায়িত্ব একই। সেটা হচ্ছে উইকেট নেওয়া। সেটা একটা পেসার, দুইটা পেসার যাই হোক। যেহেতু আমাকে নেওয়া হয়েছে সেহেতু আমার দায়িত্ব হচ্ছে কীভাবে উইকেট টেকিং ডেলিভারি করা যায়। জুটি গড়ে বোলিং করা যায়। আমার কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওটা চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে একটা পেসার খেললে ভালো হতো না দুইটা। এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। আমার মনে হয় তাইজুল ভাইও ভালো বল করেছে। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে জুটি। এক্ষেত্রে হাসান মাহমুদ অবশ্য একদমই একা। এটিও কি কোনো সমস্যা তৈরি করছে না? এমন প্রশ্ন ছিল হাসান মাহমুদের কাছে। তিনি বলছেন এতে সমস্যা নেই তার। আমি ফিল্ডার অনুযায়ী বল করি। অপর দিক থেকে কেউ যদি মেডেন ওভার নিতে চায়, সেরা বলটাই করতে হবে সবসময়। দুজনে কথা বলেই বল করা হয় আসলে, কীভাবে রান আটকানো যায়। বাউন্ডারি না দিয়ে, বাজে বল না করে বল করা যায়। স্পিন একপাশে, পেস একপাশে হলেও সমস্যা নেই। করা যায়। দুই পাশে পেসার নাকি স্পিনার এ নিয়ে চিন্তা থাকে না। প্রথম ছয় জুটিতে পঞ্চাশ রান করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পরের দুটিতেই তারা করেছে এটি। ১০৮ রানে ছয় উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা শেষ অবধি করেছে ৩০৮ রান। এমন প্রায়ই হয় বাংলাদেশের সঙ্গে। বোলিংয়ে কি এমন সময় মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন হাসানরা ? উত্তরে তিনি বলেন আসলে টেস্টে এমনটা হয়। অহরহ হতে থাকে। আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে। বেসিকটা ধরে রাখতে হবে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে চাপে রাখার। দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করার বিষয়টা কিন্তু আপনার হাতেই আছে।