কক্সবাজার সৈকতে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দুই যুবকের লাশ ভেসে এসেছে। সৈকতের সী-গাল পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সৈকতের সী-গাল পয়েন্ট থেকে বেলা ১ টার দিকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন লাইফ গার্ড কর্মীরা। এর দুই ঘণ্টা পর একই স্থানে ভেসে আসে আরো এক যুবকের লাশ। উদ্ধার কর্মীরা ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সৈকতে উদ্ধারকর্মী মাহবুব আলম বলেন, শুক্রবার দু’দফায় সৈকতের সী-গাল পয়েন্ট থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে পানিতে ভেসে এসেছে এই দুই জনের মৃতদেহ। বিকেল ৩টার দিকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাক ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিলো। উদ্ধার কর্মীরা ওই যুবককে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাহবুব আলম বলেন, এর দুই ঘণ্টা আগে বেলা ১টার দিকে সৈকতের একই স্থানে আরো এক যুবকের মৃতদেহ ভেসে আসে। তার আনুমানিক বয়স ১৮ বছর। উদ্ধার কর্মীরা মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুরাদ ইসলাম বলেন, সৈকতে ভেসে আসা দুই যুবকের লাশ টুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় লাইফগার্ড ও বিচকর্মীর উদ্ধার করেছে। তাদের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সৈকতে নিষেধাজ্ঞা না মেনে বিপদজনক স্থান ও সময়ে গোসল করতে নেমে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে তারা।
কক্সবাজারে টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, বেলা ১টার দিকে সৈকতে যে যুবকের মৃতদেহ ভেসে এসেছে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। এই যুবেকর নাম মো. ইমন (১৮)। তিনি কক্সবাজার শহরের কলাতলী চন্দ্রিমা মাঠ এলাকার আবুল কালামের পুত্র। তবে কি কারণে এই তরুণের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
এসপি জানান, বিকাল ৩টার দিকে সৈকতের একই পয়েন্ট থেকে আরো এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই যুবকের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।