দুই কন্টেনার গায়েবের ঘটনা তদন্তে দুদক

বন্দর ও কাস্টমসে অভিযান, রেকর্ডপত্র সংগ্রহ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে দেড় কোটি টাকার ফেব্রিক্সসহ দুই কন্টেনারের হদিস মিলছে না’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এ সময় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছেন দুদক কর্মকর্তারা। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

দুদক কর্মকর্তা ইমরান দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে দেড় কোটি টাকার ফেব্রিক্সসহ দুই কন্টেনারের হদিস মিলছে না সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বন্দর ও কাস্টমস এ অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযোগ বিষয়ে বন্দর চেয়ারম্যান ও কাস্টমস কমিশনারকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, কন্টেনার খুঁজে না পাওয়া তথা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা কাস্টমসের নিলাম শাখায় গিয়েছি এবং সেখান থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্রাদি সংগ্রহ করেছি। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিলামে ক্রয়কৃত পণ্য ক্রেতারা এখনও ডেলিভারি পাননি এবং কর্তৃপক্ষ বিডারদেরকে পরিশোধকৃত অর্থও এখনো ফেরত প্রদান করেনি।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় ২৭ টন কাপড় কেনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। নিলামের আগে বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা কন্টেনারে পণ্যও পরিদর্শন করেন। এরপর পণ্য ডেলিভারি নিতে মূল্য, শুল্ককর ও বন্দরের চার্জসহ ১ কোটি সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অথচ ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজি শেষে জানানো হয় কন্টেনারটি পাওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে গত জুলাইয়ের শেষের দিকে তপন সিংহ নামে অপর এক বিডারের ৪২ লাখ টাকার কাপড়সহ অপর একটি কন্টেনারও খুঁজে পায়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে দুদকের অভিযান, ৩৪ উত্তরপত্রে মিলল জালিয়াতির সত্যতা
পরবর্তী নিবন্ধজুলাই গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে রেমিট্যান্স