রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী বলেন, শরিয়ত ও তরিকত জগতের সম্রাট শাহেনশাহে বাগদাদ সাইয়্যিদুনা আবদুল কাদের জিলানী (রাহ.) এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হন যখন ভিন্নধর্মী দর্শন মুসলিম শিক্ষা ও চিন্তার জগতে দারুণভাবে বিভ্রান্তির কালো থাবা বিস্তার করে ফেলছিল। শিরক, কুফর ও বিদআত নিত্য নবরূপে সঞ্চারিত হচ্ছিল মুসলিম মননে।
অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সেই দুঃসময়ে উম্মতে মুহাম্মদীকে সঠিক পথের দিশা দেবার জন্য তাঁর মত একজন মুজাদ্দিদের, একজন পথ প্রদর্শকের, একজন মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিল। তার মাধ্যমেই ইসলাম পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছিল। এ জন্যই তিনি ‘মুহিউদ্দীন’ তথা পুনর্জীবিতকারী উপাধিতে ভূষিত।
তার শিক্ষা ও আদর্শ যুগে যুগে সঠিক পথের দিশা দিয়ে আসছে। তাঁর অপরিসীম জ্ঞানের পরিধি, ভাষার মাধুর্যতা মানব সমাজকে ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছেন। বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শাহ মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতার (রাহ.) ছিলেন ত্বরিকায়ে কাদেরীয়ার ইমাম হযরত শায়খ মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানী (রাহ.)’র অধঃস্তন বংশধর।
ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষে গত রোববার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের উদ্যোগে ইছালে ছওয়াব মাহফিলের মূল অধিবেশন সোমবার বাদ মাগরিব সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (মজিআ) উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন আল্লামা সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন তাহির জাবিরী আল মাদানি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।