বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘ দিন পর গতকাল গোলাগুলির শব্দ শোনেননি স্থানীয়রা। শুনতে পাননি হেলিকপ্টার ও জঙ্গি বিমানের শব্দ। আগে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শুনতে পেতেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার আওয়াজ। বিমানের বোমা বর্ষণের প্রকট শব্দ। তবে ঘুমধুম সীমান্তে আতংক কাটেনি।
গতকাল সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা রেজু গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উক্যচিং তংচঙ্গা চাকমা।
সরেজমিনে সীমান্তের সোনাইছড়ি, বরইতলী, বৈদ্দের ছড়া, গর্জন বুনিয়া, বাইশ পারী, তুমব্রু ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক মাস পর সীমান্তে আজ গোলাগুলির শব্দ বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে শঙ্কা এখনো কাটেনি।
গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা বলেন, প্রতিদিন বর্মী সামরিক বাহিনীর গোলাগুলিতে বিদ্যালয়ে শোনা যেত বিকট শব্দ। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শঙ্কা ছিল। তাই বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমাকে অবহিত করেছিলাম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এখন শান্ত হলেও আমাদের নজরদারি কড়া এবং টহল জোরদার রয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, দীর্ঘ দিন গোলাগুলি হলেও সীমান্তে আজ (গতকাল) কোনো গোলাগুলির শব্দ নেই। শ্রমিকরা কাজে ফিরছে, ক্ষেতখামারে ফিরছে কৃষকেরা। বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে। আশা করি শান্তি ফিরে আসবে। তিনি সকলকে নির্ভয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।