খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ‘পাহাড়ি ও বাঙালিদের’ মধ্যে সংঘর্ষ থেকে স্থানীয় বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল বৃহস্পতিবার বিকালে বলেন, ‘সেখানে পাহাড়ি–বাঙালি উত্তেজনা চলছিল। সেখান থেকেই আজকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়।’
এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন বলে জানান জেলা পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার তথ্য দিয়ে বলেন, ঘটনার পর পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
স্থানীয়রা বলেন, বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে ‘গণপিটুনিতে’ মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একপক্ষ। এতে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
বিকালে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে ঘটনা যেন আরও বিস্তৃত না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুমে কোর কমিটির (আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত) সভা করা হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেখানে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার (আজ) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হবে।’
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশিদ বলেন, আগুন নেভানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করছেন। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক আহতের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।