খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত। মেরুং ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি। এছাড়া কবাখালী ইউনিয়নের ৫ গ্রামের পানি এখনো নামেনি। দীঘিনালা–লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সাথে খাগড়াছড়িসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে লংগদু উপজেলার বাসিন্দারা। খাগড়াছড়ি–লংগদু সড়কের একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এখনো মধ্য বোয়ালখালী গ্রাম থেকে সোবাহানপুর পর্যন্ত ২০টি গ্রাম পানি বন্দি। বন্যা দুর্গতদের আমরা সাহয়তা দিচ্ছি। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ৭০০ মানুষকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনবেলা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া মেরুংয়ের হেড কোয়াটার এলাকায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় লংগদুর সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গতকাল বিকেল থেকে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বিকেলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি ফিরে এসেছেন। গত মঙ্গলবার বন্যার পানিতে বাঘাইহাট ও মাচালং এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় সাজেকের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।