দীঘিনালায় তীব্র লড়াইয়ের আভাস

সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি | রবিবার , ১৯ মে, ২০২৪ at ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ির সবচেয়ে সুন্দর উপজেলা হিসেবে পরিচিত দীঘিনালা। মাইনী অববাহিকায় গড়ে উঠা এই জনপদ রাজনৈতিক ও ভৌগলিক বিবেচনায় খুবই গুরত্বপূর্ণ। প্রায় ৯০ হাজার ভোটারের এই উপজেলায় ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। নানা হিসাব নিকাশ কষছেন ভোটাররাও। উপজেলা সদর থেকে একেবারের প্রত্যন্ত গ্রামেও ‘২১ মে’ ঘিরে আলোচনা।

চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কাশেম (আনারস) এবং আঞ্চলিক সংগঠনের সমর্থনপুষ্ঠ ধর্ম জ্যোতি চাকমা (মোটরসাইকেল)। বিজয় নিশ্চিত করতে তারা পুরোদমে চালাচ্ছেন প্রচারপ্রচারণা ও জনসংযোগ। তবে বসে নেই ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও।

নির্বাচনী মাঠে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ধর্ম জ্যোতি চাকমা। তিনি আঞ্চলিক সংগঠনগুলো সমর্থন আদায় করেছেন। তিনি বলেন, জনগণ আমাকে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে ভোট দিবে। আমি জিতে যাব। পাহাড়িবাঙালি বলে আমি কিছু বুঝি না। আমি মনে করি সবাই বাংলাদেশের মানুষ। উভয়ই সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে ভোট দিবে। দীঘিনালায় ৬টা কেন্দ্র আমার কাছে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। প্রশাসন যাতে এসব কেন্দ্রে বাড়তি নজর রাখে। গত মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শতভাগ সফল বলে দাবি করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কাশেম। তিনি বলেন, আমি গত ৫ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দীঘিনালার আনাচেকানাচে সকল সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়ন করেছি। শান্তিসম্প্রীতি দীঘিনালায় বজায় ছিল। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়ি যেখানে, সেখানে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেসব কেন্দ্রগুলো যাতে দখল করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী।

এদিকে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীই পাহাড়ি বাঙালি ভোটারদের কাছে টানতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাই ভোটারদের মন জয় করতে দিন রাত সমান তালে তারা চালাচ্ছেন প্রচারপ্রচারণা ও জনসংযোগ।

নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দীঘিনালার ৩৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৯০ হাজার ১৯৪ জন ভোটার। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৬ হাজার ৮১ জন এবং মহিলা ভোটার ৪৪ হাজার ১১৩ জন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতাপমাত্রা কমছে, লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা
পরবর্তী নিবন্ধঅনিবন্ধিত অনলাইন, ওয়েব পোর্টাল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে