ভারতের রাজধানী দিল্লিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। আক্রান্ত বহু স্বাস্থ্য কর্মী এমনকী খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। পরিস্থিতি সামলাতে প্রায়ই রাত্রীকালীন কারফিউ জারির পাশাপাশি এবার দিল্লিতে সপ্তাহ শেষে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিডিনিউজের।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী শনি এবং রোববার কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেইসঙ্গে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি সব দফতরের কর্মীদেরকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তবে, বেসরকারি সংস্থাগুলো ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারবে। মণীশ আরও জানান, স্টপেজ ও স্টেশনে ভিড় এড়াতে বাস এবং মেট্রোয় আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রকাশ্যে কেউ মাস্ক ছাড়া বেরতে পারবেন না। কোভিড বাড়তেই এর আগে ভারতের রাজধানীতে গণপরিবহন সর্বাধিক বহন ক্ষমতার পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছিল। বর্ষবরণে বন্ধ ছিল জমায়েত। কিন্তু, গত এক সপ্তাহে দিল্লিতে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। দিনেই সেখানে কোভিড শনাক্ত হচ্ছে ৪ হাজারের বেশি মানুষের। গত সোমবারই রাজধানীতে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৯ জন।
সংক্রমণের রাশ টেনে ধরতে না পারলে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শনাক্ত বেড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই কেজরিওয়াল সরকার ঝুঁকি না নিয়ে জারি করছে সপ্তাহান্তের কারফিউ।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া বলছেন, যদিও বেশিরভাগ রোগীরই উপসর্গ মৃদু অথবা কোনও উপসর্গ নেই কিংবা দ্রুতই সেরে উঠছে, কিন্তু তারপরও ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষজনকে শনি এবং রবিবার ঘরেই থাকতে হবে।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৩৭,৩৭৯ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের। আর দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আক্রান্তের দিক থেকে দিল্লি আছে দুই নম্বরে।