দিনে ঢাকা থাকে কালো পলিথিনে রাতে কাটা হয় টিলা

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার চুনতিতে রাতের আঁধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাটা হচ্ছে টিলা। ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ চুনতি সরকারি মহিলা কলেজের পশ্চিমে বাগান পাড়া এলাকায় এই টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন একটি প্রভাবশালী মহল। ক্ষত চিহ্ন আড়াল করতে দিনে কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয় টিলাটি।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন ধরে রাতের আঁধারে এস্কেভেটর দিয়ে টিলার মাটি কাটা শুরু করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। মাটিখেকো চক্রটি ইতোমধ্যে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি টিলা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এভাবে টিলা কাটার কারণে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। টিলা কাটার কাজে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, চুনতি সরকারি মহিলা কলেজের পশ্চিমে আবদুল মোনায়েমের বসতঘর ঘেঁষা প্রায় ৫০ ফুট উচ্চ টিলাটি কাটার কাজ রাতে চলে, দিনে কালো পলিথিনে ঢাকা থাকায় বুঝা যায় না সেখানে কী হচ্ছে। টিলার গায়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটার চিহ্ন। টিলাটির পাশেই রয়েছে বসতঘর। বর্ষা মৌসুমে এসব বসতঘর ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া টিলায় রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কাটা হয়েছে। এভাবে টিলা কাটায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। পথচারী মুবিনুল ইসলাম বলেন, দিনে এই পথ দিয়ে যতবার যাই, কালো পলিথিনে ঘেরা দেখতে পাই। রাতেই টিলার মাটি কাটা হয়। যদিও কিছুদিন আগেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তালিব আল আল মুহতাদী জানান, টিলার জায়গা খতিয়ানভুক্ত। তবে রাতের আঁধারে কারা টিলার মাটি কাটছেন এই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।পরিবেশকর্মী সানজিদা রহমান জানান, প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত টিলাপাহাড় ও কৃষিজমির মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধি এসব কাজে জড়িত। পরিবেশ ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এই ব্যাপারে জানতে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েলকে ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই এই ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্বাচনের পার্থক্য নিয়ে যা বললেন কাদের
পরবর্তী নিবন্ধবিষন্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের গায়ের তাপমাত্রা বেশি