তুমিতো আর শীতের ভোরের দুর্বার মুখে
শিশির বিন্দু নও যে আঙ্গুলের ছোঁয়ায় মুছে যাবে।
তুমিতো আর কচু পাতায় শ্রাবণী বৃষ্টির ফোঁটা নও
যে হাত রাখলেই গড়িয়ে যাবে।
তুমিতো আর লুসাই পাহাড় থেকে নেমে আসা
কর্ণফুলীর উজানের জল নও যে, চন্দ্রের টানে
ভাটার মতো আড়ালে হারিয়ে যাবে।
হয়তো কোনো একদিন তাজমহলের পাথর
মাটির গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে, কিন্তু তুমি
অনাদিকাল রয়ে যাবে বাংলার ঘরে ঘরে
বাঙালির প্রাণের দোসর হয়ে।
ব্যাবিলনের ঘণ্টাটাও ঢং ঢং করে আর হয়তো
বাজবে না কোনো একদিন, কিন্তু তোমার কীর্তি
বাংলার আকাশে বাতাসে চিরকাল ছায়া হয়ে,
মায়া হয়ে আলো বিলাবে।
মহাকালের গর্ভে মহাজগতের কত শত নক্ষত্র
বিলীন হয়ে যাবে অনাদরে, কিন্তু তোমার
তর্জনীর যাদু মন্ত্রর বাঙালির পথের দিশা হয়ে
রয়ে যাবে রক্ত থেকে রক্ত কণিকায়!
তোমাকে মুছে দিতে পারে; এমন হাত
পৃথিবীতে আজও জন্মায়নি,জন্মাবেও না কোনোদিন!
তুমি চির অম্লান অমলিন, তুমি অন্তত প্রেরণার হাতিয়ার,
তুমি বাংলার সকল মানুষের ভালোবাসার
হাজার বছরের ঐতিহ্য!
তুমি আমার মানচিত্রের স্বাধীনতা,
তুমি আমার লাল–সবুজ পতাকা,
তুমি আমার পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের খতিয়ান!
তুমি আমার শোকের সমুদ্রে দিক নির্ণয়ক কম্পাস!