শরণংকর বড়ুয়া
আমরা উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশ চোখের ফলকে লক্ষণীয় পরিবর্তন করা যাচ্ছে। আর্থিক সহ গ্রামগঞ্জে সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামো সব বিষয়ে অভানীয় পরিবর্তন হয়েছে। তাইতো এই ছোট্ট দেশের প্রতি বিশ্বের নজর পড়েছে। যেই দেশকে এরা তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো। আমরা যতই স্মার্ট জীবনে প্রবেশ করছি কিছু কিছু মানুষ আছো মন মানসিকতা ও আচরণে আজো পরিবর্তন হয়নি। এখনো কেউ কেউ পারিবারিক পরিবেশগত মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারেনি। তাদের অহংকার অহমিকা নিয়ে মধ্যযুগের সময়ের সাথে বাস করছে। বতর্মান সময়ে মানিয়ে চললেও কিছু মানুষের মাঝে এখনো গোড়ামি রয়ে গেছে যা আরো ৫০ বছরেও মন মানসিকতার পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। কেউ কোন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বেসরকারি বা সরকারিভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তাদের কর্মকাণ্ডেও ব্যবহার সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। কারণ এরা জনগণের ভালো মন্দের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত কিন্তু সেই দায়িত্ব প্রাপ্তদের আচরণ দেখে অবাক হয়ে যায় জনগণ। পদ পদবীর অহংকারে কথাবার্তায় ছোট বড় মান্যগণ্য নাই ক্ষমতা বলে। তাদের সাথে কথা বলা সত্যি বিবেকে বাঁধে। নেতার সাথে সেলফি তুলে বড় নেতা বনে গেছে ভাবে। অস্থায়ী পদ পদবী নিয়ে এরা এতই অহংকারী ভাবা যায় না। দেশ বা সমাজ তাদের কাজ থেকে কী বা আশা করতে পারে সত্যি খুবই লজ্জাজনক। অফিস আদালতেও লক্ষ্য করি পাঁচ মিনিটের কাজ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন দৌড়াদৌড়ি করতে হয় তার মধ্যে ব্যবহার এতই জগণ্য বলার অপেক্ষা রাখে না। সময়ের এবং কাজের কোন গুরুত্ব এরা বুঝে না। অর্থের বিনিময়ে কাজ আদায় করতে হয়। এই রীতি নিয়ম দাম্ভিকতা আজ আমাদের দেশে সব জায়গায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। তাছাড়া ছোটরা বড়দের মূল্যায়ন করতে চায় না। বয়স্কদের মুখে প্রায় তা শুনি। বড়দের অতীতের অর্জন তাদের কাছে মূল্যহীন। তাই বড়রা মানসম্মানের জন্য অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ধরনের আচরণের কারণে গ্রামে গঞ্জে সংগঠনগুলো এগিয়ে যেতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সকল দায়িত্ব প্রাপ্তদের অভিজ্ঞতা এবং বড়দের কাজের প্রতি সম্মান এবং জনগণের কাজের প্রতি সচেতন হওয়া নিতান্তই নিজ নিজ কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।