চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ধরপাড়ার ঐতিহ্যগত রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত উৎসব ও মেলা দেখার পর ফেরার পথে দ্রুতগতির বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন পরিমল কান্তি দে (৬৫)। এ সময় প্রাণে রক্ষা পায় পরিমলের সাথে থাকা দুই নাতি জোৎস্না দে ও স্নেহা দে। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের গরুর বাজার তথা একতা বাজার স্টেশনে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত পরিমল কান্তি দে’র বাড়ি বরইতলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বরইতলী হিন্দুপাড়ায়। তিনি ওই গ্রামের মৃত ক্ষেমশ চন্দ্র দে’র পুত্র।
স্বজনরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে রাস পূর্ণিমা উৎসব ও মেলা দেখে হারবাং থেকে বাড়ি ফিরছিলেন পরিমল। টমটম করে বরইতলী স্টেশনে নামার পর সাথে থাকা দুই নাতি একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ায় প্রাণে বাঁচলেও দ্রুতগতির অজ্ঞাত বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দাদা পরিমল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র জানান, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে পরিমলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেলেও সেটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। হস্তান্তর করা হয়েছে পরিমলের লাশ।