দশম সেঞ্চুরিতে তামিমের পাশে মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাজে এক শট খেলে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফিরেন ৮৭ রানে। কিন্তু ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ঠিকই পৌঁছে গেলেন তিন অঙ্কের ঠিকানায়। ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি দিনের শুরুতেই। আগের দিন শেষ বলে আউট হন তামিম ইকবাল। বুধবার সকালে মোমিনুল হকের সঙ্গে ক্রিজে যান মুশফিক। চার নম্বরে তিনি সচরাচর ব্যাট করেন না। এ দিন দুর্দান্ত সব শটের পসরা সাজিয়ে সেঞ্চুরি করে ফেললেন দ্বিতীয় সেশনেই। এই পজিশনে যা তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে দশম টেস্ট সেঞ্চুরিতে তিনি স্পর্শ করলেন তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের হয়ে এই দুজনের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল মোমিনুল হকের (১১টি)। মোমিনুল আউট হওয়ার পর সাকিব ও মুশফিকের জুটিই উদ্ধার করে দলকে। সেই উদ্ধারপর্ব মানে সেফ টেনে তোলা নয়, দুজনের ব্যাটে দারুণ গতিতে ছুটতে থাকে রানের চাকা। মুশফিক ছন্দে থাকলে যেমন খেলেন, সেসবের সবটুকুই ছিল এ দিন। দারুণ সব ড্রাইভ, পুল, কাটের সঙ্গে ছিল তার প্রিয় সুইপ ও রিভার্স সুইপ। সুইপ শটে চার মেরেই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৬৯ বলে। সাকিবমুশফিক জুটির শতরান আসে স্রেফ ১০৯ বলেই। তাতে একটি রেকর্ডে নাম লেখা হয়ে যায় তাদের। দুজনের একসঙ্গে পঞ্চম শতরানের জুটি এটি। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি জুটির রেকর্ডে ছুঁয়ে ফেলেন তারা জাভেদ ওমর বেলিম ও হাবিবুল বাশার জুটিকে। ফিফটির পরও একই গতিতে ছুটতে থাকেন দুজন। কিন্তু সাকিব থমকে যান শতরানের কাছাকাছি গিয়ে। তবে মুশফিক নির্ভরতার ছড়িয়েই সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ১৩৫ বলে। তার ইনিংসে তখন চার ১৩টি, ছক্কা ১টি। ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি টেস্টে কিপিং করছেন না কয়েক বছর ধরেই। ২০১৮ সালের পর একটি টেস্টেই তিনি কেবল কিপিং করেছেন, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। চার নম্বরে ১৬ ইনিংস খেলে তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। আগের ৯ সেঞ্চুরির ৪টি ছিল পাঁচে, ৪টি ছয়ে আর একটি সাতে। সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আরেকপ্রান্তে লিটন কুমার দাস দারুণ কিছু শট খেলার পর আউট হয়ে যান আল গা শট খেলে। কিন্তু মুশফিকের মনোযোগে চিড় ধরেনি। ১২৬ রানে ফিরে যান মুশফিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাফি স্মৃতি ক্রিকেট লিগ মিরশ্বরাই ও ইস্পাহানি একাডেমির জয়
পরবর্তী নিবন্ধ১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে লিগের সেরা বোলিং ফিগার শোয়েবের