আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও দলের ত্যাগী নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে দাবি করেছেন সদরঘাট থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, সরকার পতনের পর গত ৭ সেপ্টেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র–আন্দোলনে হামলার অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় নগর বিএনপির সাবেক অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মসিউল আলম স্বপনকে ২১ নম্বর আসামি করা হয়। এ মামলায় মোট আসামি ১৩০ জন। একইভাবে সাবেক পরররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাসমান মাহমুদসহ ১২৪ জনকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়ায় দায়ের হওয়া একটি মামলায়ও ১২ নম্বর আসামি করা হয়েছে ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মসিউল আলম স্বপনকে। বিবৃতিতে মসিউল আলম স্বপনকে শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে সক্রিয় থাকার পরও মামলার আসামি করায় নিন্দা জানানো হয়।
সদরঘাট থানা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে সংগঠনের দায়িত্ব ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন স্বপন। এ জন্য স্বৈরাচারী পতিত হাসিনা সরকার তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সদরঘাট, কোতোয়ালী ও ইপিজেড থানায় ৭টি ‘গায়েবি মামলা’ দিয়ে হয়রানি করে। এসব মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগও করেন।
বিবৃতিতে মামলায় ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ স্বপনকে আসামি করা হয়েছে দাবি করে তার নাম প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের হীনকর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিদাতারা হচ্ছন– সদরঘাট থানা বিএনপি সভাপতি হাজী সালাহউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার হোসেন বাবু, সিনিয়র সহ সভাপতি খুরশিদ আলম, সহ সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, আজিজুল ইসলাম বাদল, এরশাদ উল্লাহ কুরেশী, শাহ আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।