চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা গতকাল সোমবার বিকেলে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করব। দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংগঠনিক নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। মেয়রসহ কাউন্সিলর পদে যাদেরকে দল মনোনয়ন দিয়েছে তাদেরকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন। কিন্তু যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন দলও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া তিনি গতকালকের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, যারা দল করবেন তাদেরকে দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানতে হবে। ভুলে যাবেন না, আওয়ামী লীগ অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন আমরা সেইভাবে পরিচালিত হব। আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ৪১টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ঐ সমস্ত ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়। এছাড়া ১১ জানুয়ারি চট্টল শার্দুল এম এ আজিজের ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস পালনসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্র্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, বদিউল আলম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, জোবাইদা নার্গিস খান, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জালাল উদ্দিন ইকবাল, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, আবদুল আহাদ, মোহাম্মদ আবু তাহের, শহীদুল আলম, জহর লাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী মুহাম্মদ এয়াকুব, নুরুল আফসার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, পেয়ার মোহাম্মদ, হাজী দোস্ত মোহাম্মদ, গাজী শফিউল আজিম, বখতিয়ার উদ্দিন খান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আহমেদ ইলিয়াছ, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কুমার চৌধুরী কিষাণ, জাফর আরম চৌধুরী, মহাব্বত আলী খান, আবদুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ জাবেদ, হাজী বেলাল আহম্মদ, মো. মোরশেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।