‘গণভবনে শত সংগ্রামে অজস্র গৌরবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম থেকে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, ১৫ জন সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌরসভার মেয়র ও সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকসহ মোট দেড়শ জন নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। উপস্থিত প্রতিনিধিদের তালিকা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখে দেখে সারাদেশের বিভিন্ন মহানগর কমিটি ও জেলার সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিয়েছেন এবং অনেক উপজেলা থেকেও বক্তব্য দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনের মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শুরু হয়। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর শুরু হয়ে আবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সভা চলে। বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগসহ সারাদেশের প্রায় তিন হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
আমরা চট্টগ্রাম থেকে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ১৫ জন সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, নগরীর ১৫ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, ১৬ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ১৪ পৌর সভা আওয়ামী লীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক, ১৬ উপজেলা চেয়ারম্যান, ১৪ পৌরসভার মেয়র উপস্থিত ছিলাম। দলীয় কোন্দল, নিজেদের মধ্যে রেষারেষি আর তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের দূরত্বের কথা উঠে এসেছে বর্ধিত সভায়। নিজে মনোনয়ন না পেলে দলীয় প্রার্থীকে হারানোর প্রবণতার কথাও বলেছেন তৃণমূলের নেতারা। নিজের হলে ভালো, অপর হলেই খারাপ– এমন প্রবণতা নিয়ে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে সভায়। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যাকেই মনোনয়ন দিই, আপনাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে তাকেই জয়ী করবেন। বিশেষ সভায় অংশ নেওয়া চট্টগ্রামের একাধিক নেতা আজাদীকে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই সভায় দীর্ঘদিনের জমে থাকা দুঃখ–কষ্টের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান তৃণমূলের নেতারা। দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনাও তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে নেতাদের বিভিন্ন দিকনিদের্শনা দেন। সভার শুরুতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী বক্তব্যের পর তৃণমূলের নেতারা নিজ নিজ সাংগঠনিক জেলার নানা সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।