প্রায় সময়ই এই ব্যাপারটা দেখি যে, গাড়ির জানালার কাচ নামিয়ে জুসের খালি বোতল, চিপসের প্যাকেট, খাবারের অবশিষ্টাংশ ভরা পলিথিন, বমি ভর্তি পলথিন, যখন যা ফেলতে ইচ্ছে সজোরে ছুঁড়ে মারছেন গলিতে, রাস্তায় কিংবা স্বঘোষিত ডাস্টবিনে। শুধু গাড়ি নয়, রিক্সা, সিএনজি, বাস যে যেখান থেকে পারছে কেবল ময়লা ছুঁড়ে রাস্তায় ফেলছে।
কখনো সেই আবর্জনার কারণে পথচারীদের হাঁটতে কষ্ট হয়, অনেক সময় এমন ভাবে রাস্তায় থুতু ফেলেন, পেছন থেকে যে কেউ আসলে উড়ে গিয়ে তার গায়ে পড়ে।
শহর কেন এত নোংরা বলে বলে মুখে ফেনা তোলার আগে একবার ভেবে দেখবেন, নাগরিক হিসেবে আপনি আপনার সঠিক দায়িত্বটা পালন করছেন তো।
আমি মেনে নিলাম আমাদের শহরে সঠিক স্থানে ডাস্টবিন এর খুবই অভাব কিন্তু আপনি তো পারেন আপনার হাতে থাকা প্যাকেট, খালি বোতল কিংবা পলিথিনটা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে। আপনি কোনো লোকাল গাড়িতে থাকলে নিজের কাছে থাকা ব্যাগ, পকেট কিংবা নিদেনপক্ষে ময়লাটা হাতে রাখুন, যেন ঠিক জায়গায় পরে ফেলতে পারেন অন্তত শহরটা এভাবে নোংরা হওয়াটা অনেকখানি কমে যাবে।
সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে দেখলাম সবাই এভাবে ময়লা ফেলেই যাচ্ছে সাগরে। ফেরি, লঞ্চ, জাহাজ কোনো বাহনই এর ব্যতিক্রম নয়, যেখান থেকে নোংরা ময়লা বিশেষ করে অপচনশীল দ্রব্য, বিষাক্ত পলিথিন এর মোড়ক নদী, সাগর, খালে পড়ছে না!
কাউকে সতর্ক করতে গেলে, প্রায়ই আমাদের শুনতে হয়, ‘সবাই তো ফেলছে– আমি ফেললে এ আর এমন কী?’ আপনি বলতেই পারেন সিটি কর্পোরেশন আছে, তারা পরিষ্কার করে নেবে। আচ্ছা ধরুন, আমরা বাসা পরিষ্কার করবো, এটা ভেবে কি সারাক্ষণ যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখি? তাহলে কেন নিজ শহরের প্রতি এই অবিচার? আমরা কি পরবর্তী প্রজন্মকে একটা পরিবেশ উপহার দিতে পারি না যেখান থেকে সে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস পাবে। অল্প বৃষ্টিতে শহর ডুবে যাওয়ার দায় তখন পুরোপুরি কর্তৃপক্ষকে দিতে পারবো। আমাদের সচেতনতা কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করবে, সঠিকভাবে ডাস্টবিন স্থাপন থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতার অন্যান্য কাজ ঠিক ভাবে করতে।