মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে না পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার, সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন ক্ষেত্রে বিচার কার্যক্রম ভার্চুয়ালি চালানোর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি রয়েছে এমন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। খবর বিডিনিউজের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার এ বিষয়ে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন। ঢাকার আদালত পাড়া থেকে গত রোববার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপের বিষয়টি সামনে আসে।
এরমধ্যেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এ ধরনের আসামিদের আদালতে হাজির না করে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। অন্য আসামিদের জন্য নয়, শুধু মৃত্যুদণ্ড বা দণ্ডিত আসামিদের আদালতে না এনে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রমের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তিনি একমত পোষণ করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় যখনই বলবে তখনই শুরু হবে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু জনান, বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই জরুরি। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়। একই কথা জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। দুদকের এই আইনজীবী মনে করেন, এ আধুনিক ব্যবস্থা চালু হলে সবার জন্য ভালো হবে। আসামিদের সকল সুযোগ সুবিধা রেখে এ ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, এখানে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার জানান, আদালতে না পাঠিয়ে এ ধরনের আসামির ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারের কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে তারা কাজ শুরু করেছেন। বিচারক, আইনজীবি, আসামির কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে একটি গাইডলাইনের প্রয়োজন রয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনের দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে খুব শিঘ্রই এ ব্যাপারে কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশলী আব্দুল্লাহ আবু মনে করছেন, একটি নীতিমালা তৈরি হওয়ার পর কাজ শুরু হতে পারে।