চন্দনাইশে গ্যাস ক্রসফিলিং গুদামে ভয়াবহ সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে গুরুতর আহত আরও ১ শ্রমিক মারা গেছে। তার নাম মোহাম্মদ আকিব (১৭)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় ঢাকার জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের চন্দনাইশ মানবিক টিমের প্রদান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী।
সে হাশিমপুর ইউনিয়নের ছৈয়দাবাদ পর্দার ডেবা এলাকার মোহাম্মদ আমিনের ছেলে। ভয়াবহ সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ জন মারা গেল। বাকী ৩ জন ঢাকার জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া সীমান্তের দ্বীপ চরতী সর্বির চর নির্জন এলাকায় অবৈধ গ্যাস ক্রসফিলিং করার সময় গুদামে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরিত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং গুদামটি সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়। এসময় গুদামে অবস্থানকারী ১০ জন দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। একদিন পর গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে ঢাকার বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
দুইদিন পর বাকি ৬ জনকেও ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মারা যায় ওই গুদামের দুই শ্রমিক মোঃ ইদ্রিস (২৬) ও মোঃ ইউসুফ (৩০)। এরপর গত সোমবার ভোররাতে মারা যায় ওই গুদামের মালিক দগ্ধ মাহাবুবুল আলম (৪৭)।
একইদিন সকাল সাড়ে ৯টার সময় মারা যায় শ্রমিক মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)। পরদিন গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার সময় মারা যায় শ্রমিক মোহাম্মদ হারেছ প্রকাশ হারুন (২২)। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যায় শ্রমিক মোহাম্মদ আকিব (১৭)। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে মোহাম্মদ কফিল (২২), মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ লিটন (২৮)। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।