রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীবউল্লাহ পাড়ায় আবদুল্লাহ মানিক (৪০) নামের এক যুবদল কর্মী খুন হয়েছেন। মানিক ওই পাড়ার মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক। গত ১৯ এপ্রিল মধ্যরাতে এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে তার বাড়ির অদূরে থাকা ভান্ডারী কলোনির একটি বস্তি ঘরে।
জানা যায়, মানিক শহরের বাসায় থাকতেন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে। সেখান থেকে প্রায় আসতেন নিজ এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় শহর থেকে এলাকায় এসে সহপাঠীদের সাথে সময় কাটিয়ে রাত দশটার দিকে এক যুবককে সাথে নিয়ে প্রবেশ করেন ভান্ডারী কলোনির একটি ঘরে। ওই ঘরে থাকে এক দিনমজুরের পরিবার। তিনি প্রায় রাতে এখানে আসা যাওয়া করতেন। স্থানীয়রা বলেছেন রাত ১১টার দিকে ওই ঘরে আসেন মানিকসহ এক যুবক। তারা এসে ভাত খাবে বলে যাওয়ায় তাদের জন্য আগে তৈরি ছিল রান্না করা ভাত। দুজন খেতে বসার মধ্যে হঠাৎ করে সিএনজি টেঙি ও মোটরসাইকেল নিয়ে ১৪– ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সেখানে নেমে ওই ঘরে ডুকে। তারা মানিককে ঝাপটে ধরে মুখের ভেতর অস্ত্র ঢুকিয়ে গুলি করে। পরে তার দুই পায়ে ও পেটের নিচে গুলি করে এবং কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এসময় মানিকের সাথে থাকা যুবক পালিয়েছে না তাকে আক্রমণকারীরা ধরে নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্টের আগে মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন মানিক। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি দেশে এসে তৎপর হন যুবদলের রাজনীতিতে। প্রথম দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের পক্ষে থাকলেও পরে পক্ষ বদল করে চলে যান দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী সমর্থিত গ্রুপের সাথে।
অভিযোগ রয়েছে, দেশে আসার পর থেকে মানিক এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকারীদের সাথে থেকে নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছিলেন। এসবের মধ্যে স্বদলীয় কারো কারো সাথে বিভিন্ন কারণে দূরত্বও বাড়ে। স্থানীয়রা বলেছেন মানিকের এক ভাই খোকনকেও প্রায় এক দশক আগে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করেছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে কোনো মামলা হয়নি। মানিকের নামে আগের কোনো মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন থাকতে পারে। দেখে বলতে হবে।