দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মহসীন এবং সদ্য ঘোষিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফিরোজের ওপর হামলা করেছে পদ বঞ্চিতরা। নগরের জামাল খান মোড়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার মো. মহসীন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার কোতোয়ালী থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশী চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন জিয়াউল হক জোনাইদ, অহিদুল ইসলাম চৌধুরী ইশতিয়াক নোমান চৌধুরী জামি ও মাসুদ শিকদার। জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৪২ সদস্যের ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে পদবঞ্চিতরা। বিবাহিত, সন্তানের বাবা, প্রবাসী ব্যাংক–বিমা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় বলেও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহসীন ও ফিরোজের ওপর হামলায় অভিযুক্ত জিয়াউল হক জোনাইদ। এছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত অহিদ ও জামি উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। এদিকে মামলার এজাহারে মহসীন দাবি করেন, অভিযুক্তদের কাছে তিনি টাকা পাবেন। বকেয়া টাকা চাওয়ায় তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি আজাদীকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে রিকশা করে বাসায় যাওয়ার পথে জোনাইদ, অহিদ, জামি ও মাসুদ শিকদারসহ অজ্ঞাতরা আমার ওপর হামলা করে। এরা আমার সঙ্গে ব্যবসা করে। তাদের কাছে আমি টাকা পাই। টাকা চাওয়ায় তারা হামলা করে। এ সমময় ফিরোজও আমার সঙ্গে ছিল। সেও আঘাত পেয়েছে। সদ্য ঘোষিত দক্ষিণ জেলা ছাত্র দলের কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত সময়ে যারা সক্রিয় ছিল তাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন দক্ষিণ জেলায় কমিটি ছিল না। ওই সময়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্রদলের কর্মীদের অ্যাক্টিভ রেখেছিলাম। জানতে চাইলে হামলার শিকার মোহাম্মদ ফিরোজ ঘটনা অস্বীকার করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জিয়াউল হক জোনাইদ বলেন, কারা হামলা করেছে জানি না। আজ দেখলাম ‘মিথ্যা’ অভিযোগে মামলা করেছেন। তিনি নাকি আমার কাছে টাকা পাবেন। তিনি বলেন, ছাত্রদল করতে গিয়ে তিনবার জেল খেটেছি। আমার মা–বাবা মারা গেছেন। ভাই–বোনও নাই। ছাত্রদলকে ভালোবেসে বেঁচে আছি। যারা সভাপতি চায় তাদের অন্তত সহ–সভাপতি করা হয়। আমাকে সদস্যও রাখেনি। সে যোগ্যতাও কি আমার ছিল না। তাহলে দল করতে গিয়ে কেন জেলে গেলাম।












