দক্ষিণ আফ্রিকায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস। ভোটের আংশিক ফলে দেখা গেছে এমনটাই। বুধবার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছে জনগণ। বর্ণবাদের অবসানের পর নেলসন ম্যান্ডেলার উত্তরসূরি হিসাবে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবারই সবচেয়ে বেশি নাটকীয় রাজনৈতিক পরিবর্তনের শিকার হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
তিন দশক ধরে ক্ষমতাসীন দল এএনসির নেতাদের দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট, বেকারত্ব ও বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য জনগণের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ারই প্রতিফলন এবারের ভোটে ঘটেছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। নির্বাচন–পরবর্তী জরিপ অনুযায়ী, এএনসি এখনও নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে।
দলটির নানা ব্যর্থতার মধ্যে উত্থান ঘটছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার নতুন রাজনৈতিক দল উমখুনটো উই সিজ (এমকে)-এর। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের প্রকাশিত ফলে এএনসি পেয়েছে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।
ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) পেয়েছে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট, মার্কসিস্ট ইকোনোমিক ফ্রিডম ফাইটারস (ইএফএফ) পেয়েছে ৮ শতাংশ এবং জ্যাকব জুমার এমকে পার্টি পেয়েছে ৮ শতাংশ ভোট। আগের নির্বাচনে ২০১৯ সালে এএনসি ৫৭ শতাংশের বেশি ভোট জিতে সরকার গঠন করেছিল। অন্য দলগুলোর মধ্যে ডিএ ২০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ইএফএফ পেয়েছিল ১০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল আগামী রোববার নাগাদ মিলতে পারে। চূড়ান্ত ফল প্রাথমিক ভোটের মতোই হলে এএনসিকে দেশ শাসন করার জন্য এক বা একাধিক অন্য দলের সঙ্গে চুক্তি করে জোট সরকার গড়তে হবে। সেরকম পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক সপ্তাহ এবং কয়েকমাস ধরে নজিরবিহীন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করতে পারে। এএনসি’র ক্ষমতায় ভারসাম্য থাকলেও মূল ঝুঁকি হচ্ছে,দলীয় কোন্দলে শাসন পরিচালনা অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে বলেই মত বিশ্লেষকদের।