থানচিতে ২২ পর্যটকের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা

বান্দরবান প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের থানচি উপজলায় ভ্রমণকারী পর্যটকদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং ১৭টি মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একদল সশস্ত্র ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ছিনতাইকারীদের হাতে ৬টি অস্ত্র এবং জলপাই রঙের পোষাকে কেএনএফ লেখা ছিলো বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পর্যটকরা। রোববার রাতে দুর্গম পর্যটন স্পট ভেলাখুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আইনশৃংখলা বাহিনী ও পর্যটকরা জানান, থানচি উপজেলার তীন্দু ইউনিয়নের নাফাখুম পর্যটন স্পটে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্রমণে যান ২২ জনের দুটি পর্যটক গ্রুপ। যাদের মধ্যে ৪ জন নারী পর্যটকও ছিলো। নাফাকুম ভ্রমণ শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি তারা ভেলাখুম ট্যুরিস্ট স্পটে ক্যাম্পিং করে। ওইদিন রাত এগারোটার দিকে ৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাদের ক্যাম্পে হানা দেয়।

এসময় পর্যটকদের সারিবদ্ধভাবে একজায়গায় বসিয়ে রেখে তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা এবং ১৭টি মোবাইলফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পর্যটক গ্রুপের সদস্য অনিক মোদক বলেন, বান্দরবান ভ্রমণে এসে ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চারের মুখোমুখি হলাম আমরা ২২ জন পর্যটক। প্রথমদিনে নাফাখুম ঘুরে টুইসা পাড়া হয়ে আমরা ভেলাখুমে রাত্রিযাপন করি। রাতেরবেলায় কেএনএফ লেখা জলপাই রঙের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের জিম্মি করে জিনিসপত্র লুটে নেয়। তবে আমাদের কারোর কোনো ক্ষতি করেনি। শুধুমাত্র স্থানীয় গাইডকে মারধর করে তারা। কোনো রকম রাত পেরিয়ে আমরা সাঁতরে ভেলাখুম পার হয়ে থানচিতে চলে আসি দ্রুত। বিষয়টি আমরা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প এবং প্রশাসনকে অবহিত করেছি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ২২ জন পর্যটকের দুটি গ্রুপ রেমাক্রী ভ্রমণে যান। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছ থেকে তারা রেমাক্রী পর্যন্ত ভ্রমণের অনুমতি নিলেও পরবর্তীতে নাফাকুম, টুইসা পাড়া হয়ে ভেলাখুম পর্যটন স্পটে ঘুরতে যান। সেখানেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, থানচিতে পর্যটকদের ছিনতাইয়ের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইতিপূর্বে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

পুলিশের থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন জানান, ভুক্তভোগী পর্যটকদের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুগন্ধা সৈকতকে বঙ্গবন্ধু বিচ নামকরণের নির্দেশনা বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধদগ্ধ আরো দুই শিশুর মৃত্যু