নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দায়েম নাজির জামে মসজিদ সংলগ্ন জুলুস মাঠে আওলাদে রাসুলের (দ.) ইমামতিতে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন হাজারো মুসল্লি। সকাল ৮টা থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকেন। দুপুর ১২টার মধ্যে মসজিদ সংলগ্ন জুলুস মাঠও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নাজিরপাড়া, খতিবের হাটের সড়ক-বাড়িতে, ছাদে মানুষ জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। জুমার নামাজে খুৎবা পাঠ ও ইমামতি করেন আওলাদে রসুল (দ.) আল্লামা পীর সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম.জি.আ.)। নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত মাহফিলে সদারত করেন হুজুর কেবলা আওলাদে রাসুল (দ.), রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, মুর্শিদে বরহক্ব, হাদীয়ে দ্বীন ও মিল্ল্ল্লাত, হযরতুলহাজ্ব আল্ল্ল্ল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (ম.জি.আ.)। প্রধান মেহমান ছিলেন আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (ম.জি.আ.), বিশেষ মেহমান ছিলেন সাহেবজাদা হযরতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (ম.জি.আ.)।
মাহফিলে সিলসিলার বায়াত কার্যক্রম পরিচালনার পর উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.) বলেন, সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়া হজরত গাউসুল আজম দস্তগীর আবদুল কাদের জিলানী (রা.) এর প্রতিষ্ঠিত ত্বরিকা। এ সিলসিলার সাথে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার সম্পর্ক। মনে রাখতে হবে, তওবার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা বান্দার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন। তবে, কেউ যদি অপরের হক্ব ধ্বংস করে, অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করে, মানুষের প্রতি জুলুম করে তার পাপ আল্লাহ ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ না বান্দা ক্ষমা না করেন। ত্বরিকতের মূল কথা হচ্ছে, আত্মশুদ্ধি অর্জন করে এমন কাজ করা যাতে আল্লাহ তা’আলা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্তুষ্ট হন। তিনি সিলসিলায় নবাগতদের জামেয়া, আনজুমান ও গাউসিয়া কমিটির খিদমত করার নির্দেশ দেন।
প্রধান অতিথি আল্লামা পীর সৈয়দ সাবির শাহ বলেন, বায়াতের মাধ্যমে সিলসিলায় প্রবেশ এটি কোনো সাধারণ বিষয় নয়, এটি মানুষকে আল্লাহর আদেশ ও রাসুলে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার নির্দেশিত পথে সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করার একটি মাধ্যম। কুতুবুল আউলিয়া হজরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রা.) এ সিলসিলা দিয়ে আমাদের প্রতি এহসান করেছেন। এ সিলসিলার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর অনেক নিয়ামত পেয়েছি, জামেয়া, আনজুমান, গাউসিয়া কমিটি ও দাওয়াতে খায়ের পেয়েছি। আমাদের এ সব প্রতিষ্ঠানের পরিচর্যা ও কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
মাহফিলে অতিথি ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান, আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. কিউ. আই চৌধুরী, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সমশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি এস.এম. গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, মসজিদের মতোয়াল্লি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাদ ইবনে দিদার, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি তছকির আহমদ, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোহাম্মদ কমরুদ্দিন সবুর, আনজুমান সদস্য মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, লোকমান হাকিম মোঃ ইব্রাহীম, শেখ নাছির উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, নূর মোহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মুহাম্মদ আবদুল হাই মাসুম, মোহাম্মদ হাসানুর রশীদ রিপন, গাউসিয়া কমিটি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মাস্টার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ প্রমুখ। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দায়েম নাজির জামে মসজিদের খতিব আল্লামা আবুল আসাদ জুবায়েরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জুমার নামাজ পূর্ব আলোচনা ও জুমা পরবর্তী মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, আল্লামা জয়নুল আবেদীন কাদেরী, আবদুল মোস্তফা রহিম আল আজহারী ও ক্বারী ইব্রাহিম।
পরে হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে দো’আ ও মুনাজাত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।