তুমি ডেকেছিলে সমুদ্র বিহারে
খোলা দখিনা হাওয়ায় আমরা বেড়াবো বলে,
আমাদের প্রমোদতরী ভাসাতে চেয়েছিলে
নোনা জলের বিস্তির্ণ জলে;
ডেকেছিলে বড় অসময়ে,
মহুয়ার মাতাল গন্ধ ছড়ানো ফুলেরা যখন
চলে গিয়েছিলো –
সাগর সঙ্গম শেষে জেলেরাও
গুটিয়ে নিয়েছিলো পাল,
জাহাজীরাও নোঙ্গর তুলে ছেড়ে গিয়েছিলো
মোহনার কর্দমাক্ত মায়া,
তুমি ডেকেছিলে সমুদ্র বিহারে,
যখন গোধূলির আর বেশি দেরী নেই–
রাতের আঁধারে কেবল ঢেউয়ের শব্দ গুনলেই
কি আর সমুদ্র বিহার হয়?
সীমাহীন সমুদ্রের বুকে,
রৌদ্র আলোর বিকিরণে
ঢেউয়ের পরে ঢেউ জেগে ওঠা,
আর, উপকূল ছেড়ে যাওয়া জাহাজের
প্রণয়ব্যকুল নাবিকের চোখের ছায়া
যদি না ই দেখা হলো
তবে কি আর সমুদ্র বিহার হলো?
তুমি ডেকেছিলে,
তোমার ডাকে মন উচাটন হয়েছিলো,
পড়েছিলাম হিসাবের গরমিলে,
যেমন করে মানুষ ভুল করে –
অসময়ে কোকিলের ডাক শুনে!
তুমি ডেকেছিলে
আমি যেতে পারি নি;
নিকষ কালো রাত্রি এসে পড়বে বলে।
তোমার সে ডাক আজো শুনি
ধলপহরের ক্ষণে;
আজো তোমার প্রণয় আহবান
ভীষণ তৃষ্ণা জাগায় মনে।
তোমার সাথে সমুদ্র বিহার হলো না এ জীবনে।