রোদ–বৃষ্টির খেলায় এক পশলা বৃষ্টি! ভেজা মন। ভেজা ভেজা সবই। এলোমেলো স্বপ্নের আনাগোনা, সীমাহীন শুন্যতা কিম্বা আনন্দোচ্ছ্বাস। ধূসর কালো মেঘের কৃষ্ণরূপ, দুপুরের তপ্ত কড়া রোদ্দুর। শরতের তুলতুলে মেঘ, হেমন্তের সোনা আভায় সূর্যচ্ছটা…. সবকিছুকেই আদরে, মায়ায় জড়িয়ে আছে ওই দূরের নীল, নীলাকাশ! বিরহে কাতর অন্ধকারকে ভালোবেসে সহস্র তারায় ঝিকিমিকি করে তুলে আকাশ। একটাই আকাশ। আমার প্রেম, আমার ভালোবাসা আকাশকে ঘিরে! আকাশের সাথেই আমার হাজারো বাক্য বিনিময়।…….. তোমার নীলে আমি নীলাভ হই। তোমার প্রেমে হতবাক হয়ে তোমার রূপের বন্দনা করি সন্তর্পণে। আমার বিড়বিড় বলার উত্তরে তুমি খালি হাসো! আকাশ, তুমি টুপ করে নিচে নেমে আমার দু’হাত ধরে নাচবে এসো! আমি নাচতে জানি, সাজতে জানি, গাইতে জানি ভীষণ ভালো। জানো আকাশ, আমার ওই যে আনন্দাশ্রু তা তোমাকেই নিবেদন করে শান্তি পাই মনে। তুমি কথাকে ছিঁড়ে দু’কান করো না বলেই তুমি নির্ভরতা!
আমার বিরহ, আমার দুঃখ সব.. সব তোমাকেই জানাতে সাঁয় দেয় মন। তুমি ভারাক্রান্ত হও, তুমি রাগান্বিত হও, কানোদিন তা জানতেও চাইনি! না, তুমি কখখনো তেমনটা হবে না জেনেই আমি হৃদয়ে পুলক পাই। অযুত– নিযুত কথার প্রতিত্তুরে তুমি শুধু বিশালতার দীক্ষা দাও। ব্যাপ্তি ছড়ানোর পরামর্শ করো ফিসফিসিয়ে! তোমাকে জানাতে এতটুকু কার্পণ্য হয় না কেনো, জানি না আমি। আমার মনের দীনতা ঘুচাতে তুমি হও আমার গোপন প্রিয়! তোমার গায়ে এলোমেলো অক্ষরে লিখে রাখি আমার সমস্ত আবেগ, ভালোবাসা, বিরহ! তুমি প্রশ্রয় দাও আর আমার সাহস বেড়ে দ্বিগুণ হয়। আমি আমার মনে তোমার আল্পনা আঁকি অহর্নিশ! বর্ণিল রঙে তোমাকে সাজাই। নিঃসীম শুন্যতায় আমি বুকে সাহস পাই, তোমার সরল চাহনীতে। তুমি ভোরের আকাশ, দুপুরের আকাশ, বিকেলের মেঘহীন আকাশ, রাতের বিলাসী আকাশ! কতো রূপে রূপময় তুমি। রাতের ঝিকিমিকি তারায় তুমি অবারিত সৌন্দর্য বিলাও। তোমার আলোয় আলোকিত করো পুরো পৃথিবী! তোমারই মতো বিশাল হবো বলেই, তোমার গুণগান গাই অবলীলায়। তোমার থেকে ন্যূনতম দ্যোতি হলেও আমায় দাও, আকাশ! ভালোবাসি তোমায়, খুব খুব ভালোবাসা তোমার প্রতি। তুমি আমার অন্তরীক্ষ। তুমিই আমার সমস্ত একাগ্রতার আধার!