তৈলারদ্বীপ সেতু মনিটরিংয়ে ৩ টিম প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মেলেনি

অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

আনোয়ারা প্রতিনিধি | শনিবার , ৮ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

তৈলারদ্বীপ সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠার পর সেতুর টোল মনিটরিংয়ের জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগ ৩টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দৈনিক আট ঘণ্টা করে তারা সেতুর টোল আদায় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। তারা অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে একটি লিখিত প্রতিবেদন জমা দিবেন। তদন্ত কমিটি ১২ জুলাই পযন্ত ৭ দিন টোল আদায় কাযক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাইনি বলে জানা গেছে।

তৈলারদ্বীপ সেতুর ইজাদার জে এ ট্রেডিংয়ের প্রতিনিধি আজিজুল হক আজিজ বলেন, গত ৩০ জুন রাত ১২টা থেকে আমরা তৈলারদ্বীপ সেতুতে ইজারা উত্তোলন করছি। ইজারা উত্তোলনকালে সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকার বাইরে আমরা কোনো যানবাহন থেকে ১টি টাকাও অতিরিক্ত টোল আদায় করিনি। কোনো যানবাহন চালক এ অভিযোগ করতে পারবে না। তারপরও কোনো কারণ ছাড়া একটি পক্ষ হঠাৎ কী কারণে আমাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ এনে কেন অপপ্রচার করেছে জানি না।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, সদ্য ইজারা প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জে এ টেড্রিং গত ৩০ জুন রাত ১২টা থেকে তৈলারদ্বীপ সেতুর ইজারা উত্তোলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর দুই দিন পর এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ আনে একটি পক্ষ। সে কারণে অভিযোগ তদন্তে দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগ অতিরিক্ত টোল আদায়ের ঘটনার সত্যতা মনিটরিংয়ের জন্য ৬ কর্মকর্তাকে নিয়ে ৩টি বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন করে। একটি টিম দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল আদায় কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবে। এ সময় তারা যানবাহন চালকদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা যাছাই করে অভিযোগের লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে গত দুই দিন ধরে তদন্ত কমিটি সেতুর টোল আদায় কার্যক্রম সরেজমিনে মনিটরিং করছেন। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত ৭ দিন তারা সেতুর টোল আদায় কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।

তিনি আরো বলেন, গত দুই দিন ধরে গঠিত তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে তৈলারদ্বীপ সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের সত্যতা পাওয়া যাইনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৪ বছর পলাতক থাকা প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধঅসামাজিক কার্যকলাপে জড়িতদের বড় অংশ রাজনৈতিক মদদপুষ্ট