সর্বশেষ কিস্তিতে ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে এখন তুমব্রুতে আর কোনো রোহিঙ্গা নেই। গতকাল দিনব্যাপী স্থানান্তর কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্টরা এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে পালিয়ে যাওয়া ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার সন্ধান এখনো পায়নি কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিস। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তা স্বীকার করেছেন।
কক্সবাজার আরআরআরসি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৫ তারিখ প্রথম দফা রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট ক্যাস্পে আনা হয়। এতে ৩৬ পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গা ছিল। আট দফায় মোট ২৬২৯ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়। অষ্টম পর্বে নতুন রেজিস্ট্রেশনের ৬৭ পরিবারের ২৪২ সদস্যকে গতকাল বিকেল নাগাদ ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়। স্থানান্তর কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেন কুতুপালং ৭ নং ক্যাম্পের সিআইসি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) প্রীতম সাহা ও ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ। জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম দফা মালামালসহ ১৩০ রোহিঙ্গাকে নিয়ে ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছায় ১টি বাস ও ১টি ট্রাক। দুপুর ২টার দিকে বাকি রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হয় একই ক্যাম্পে। এরই মাধ্যমে তুমব্রু গ্রামে আর কোনো রোহিঙ্গা থাকল না।
কঙবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আগে পালিয়ে যাওয়া ৫৯৯ জন রোহিঙ্গা কোথায় গেছে তা তিনি জানেন না।
প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘাতের কারণে শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গারা কোনার পাড়া ও তুমব্রু গ্রামে পালিয়ে আসে।