আরও একবার ব্যাটারের ব্যর্থতার কারণে ম্যাচ জেতা হলোনা বাংলাদেশ ইমার্জিং নারী দলের। তারপরও অল্প পুঁজি নিয়েই জোর লড়াই করলেন স্পিনাররা। রোমাঞ্চের পথ বেয়ে ম্যাচ গড়াল শেষ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দলের প্রয়োজন তখন ৭ রান। বাংলাদেশের দরকার ২ উইকেট। ফারিহা তৃষ্ণার প্রথম বলে এক রান নিলেন সফরকারী অধিনায়ক কোমোতো রাপো। বাঁহাতি পেসারের পরের বল চমৎকার শটে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারলেন এলিজ–মেরি মার্ক্স। সীমানায় লাফিয়ে উঠেও নাগাল পেলেন না স্বর্ণা আক্তার। সম্ভাবনা জাগিয়েও পারল না বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জিতল প্রোটিয়ারা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লা. লে. শহীদ মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ ওভারে গিয়ে ২ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ বল বাকি রেখে বাংলাদেশের ১৫১ রান টপকে যায় তারা। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল সফরকারীরা। আরেকটি জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের ট্রফি নিজেদের করে নিল তারা। নতুন বলে দারুণ স্পেলের পর ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন মার্ক্স। মাত্র ১৩ রানে ৩ উইকেট ও অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংসে তিনিই জয়ের নায়ক।
অল্প পুঁজি নিয়ে প্রোটিয়াদের কাজ কঠিন করে তোলেন দুই বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার ও সাবিকুন নাহার। দুজনই নেন ২টি করে উইকেট। ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৯ রান দেন সানজিদা। সাবিকুনের খরচ ২২ রান। শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফেরান সানজিদা। ঘান্ডি জাফটা ও ফে টানিক্লিফ মিলে ৩৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন। আগের ম্যাচের সেরা টানিক্লিফকে বোল্ড করেন স্বর্ণা। ভেরুন্নিসা রেড্ডিকে নিয়ে আরেকটি ৩৮ রানের জুটি গড়েন জাফটা। ৮৭ বলে ৫২ রান করেন তিন নম্বরে নামা ব্যাটার। একশ ছোঁয়ার আগে ছোট এক ধস নামে প্রোটিয়া ইনিংসে। মাত্র ৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ৯৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে জয়ের আশা দেখতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু মার্ক্স ও লিয়া জোন্সের ৩৬ রানের জুটিতে অনেক দূর এগিয়ে যায় সফরকারীরা। শেষ ওভারের স্নায়ুর লড়াইয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মার্ক্স।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৪৫ রানে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ৬ ব্যাটার। আবার হতাশ করেন ইশমা তানজিম, সাথি রানি, স্বর্ণা, দিলারা আক্তাররা। ফারজানা ইয়াসমিনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন শারমিন সুলতানা। দুজনের ৮১ রানের জুটিতে একশ পার করে বাংলাদেশ। ১০১ বলে ৬ চারে ৫৯ রান করে আউট হন অধিনায়ক শারমিন। আরও কিছু দূর এগিয়ে যান ফারজানা। তার ৮৪ বলে ৪৪ রানের সৌজন্যে কোনোমতে দেড়শ করে বাংলাদেশ। সেই স্কোর নিয়ে লড়াই হলেও ম্যাচ জেতা হলো না। একই মাঠে রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচ। প্লেয়ার অব দা ম্যাচ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এলিজ–মেরি মার্ক্স। আগামী ১১ মে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।