রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তিন রুটে আরো তিনটি নতুন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা–চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম–চাঁদপুর এবং চট্টগ্রাম–সিলেট রুটে নতুন তিনটি ট্রেন চালুর ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল থেকে রেল মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এই প্রস্তাবে রেলমন্ত্রী, সচিব এবং ডিজির সম্মতি আছে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা আধুনিক উচ্চগতির কোচ দিয়ে এই তিন রুটে নতুন ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঢাকা–চট্টগ্রামসহ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রুটে নতুন ট্রেন চালু হবে। এই ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে আছে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নতুন কোচগুলো সব এলে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মিটারগেজ কোচ সংকট কাটানোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আধুনিক উচ্চগতির ১৫০টি কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫২টি এসেছে। অবশিষ্ট কোচগুলো ধারাবাহিকভাবে আসবে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী কারখানার কর্মব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমির উদ্দিন।
এখন নতুন ট্রেন চালুর ব্যাপারে কোচ ও ইঞ্জিন সংকট নেই বলে জানান পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলপথে বর্তমানে যেসব ট্রেন রয়েছে, তাতে যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। এদের বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়ায় ভোগান্তি ও ঝুঁকি নিয়ে সড়কপথে যাতায়াত করতে হয়। তাই নতুন ট্রেন চালুর দাবি অনেকদিনের।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটে এখন ৬ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে মহানগর এক্সপ্রেস ১৯৮৫ সালে, মহানগর গোধূলী ১৯৮৬ সালে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ১৯৯৮ সালে, তূর্ণা এঙপ্রেস ২০০০ সালে এবং ২০১০ সালে চট্টলা এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এই রুটে যুক্ত হয় বিরতিহীন আন্তঃনগর সোনার বাংলা।
এদিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটের পর সবচেয় ব্যস্ততম চট্টগ্রাম–চাঁদপুর রুটে বিকাল ৫টায় মেঘনা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এখন এই রুটে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম–সিলেট রুটে প্রতিদিন মাত্র একটি ট্রেন যায় এবং একটি ট্রেন আসে। এই রুটে একটি উন্নত কোচ সমৃদ্ধ আন্তঃনগর ট্রেন চালু চট্টগ্রাম–সিলেট রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি।
