তিন জাপানি গাড়িসহ ৭৫ লট পণ্যের নিলাম কাল

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৩ জাপানি গাড়ি এবং ফেব্রিক্সসহ বিভিন্ন ধরণের ৭৫ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আগামীকাল। গাড়িগুলোর মধ্যে টয়োটা ব্র্যান্ডের দুটি এবং নিশান ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি সর্বশেষ অনুষ্ঠিত নিলামে তোলা হয়। গাড়ি তিনটি অবিক্রিত থাকার প্রেক্ষিতে পুনরায় নিলামে তোলা হচ্ছে।
কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির তিনটির মধ্যে টয়োটা ব্র্যান্ডের নেভি কালারের মাইক্রোবাসের গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকা, নিশান ব্র্যান্ডের মাইক্রোবাসের দাম ধরা হয়েছে ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা এবং টয়োটা ব্র্যান্ডের অপর গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৬ টাকা। গত ১৬ সেপ্টেম্বরের নিলামে গাড়িগুলোর প্রত্যাশিত দর পাওয়া যায়নি। গাড়ি ছাড়াও অন্য পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- সালফিউরিক এসিড, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ড্রাগন ফল, গার্মেন্টস ফেব্রিক্স, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, থান কাপড়, জিংক অক্সাইড, আউটডোর ওয়াল টাইলস, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য, জেন্টস আন্ডারওয়্যার, পেপার ট্যাগ, প্লাস্টিক বাকল, ওয়েস্ট বেল্ট, পেইন্টিং পণ্য, ফ্লাড লাইট, ল্যাবরেটরি সাপ্লাইস, হ্যান্ড গ্লোভস, ফ্লোর ম্যাট, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, কটন ড্রকর্ড, এমপিইটি ফিল্ম, ইলেকট্রিক এয়ার পাম্প, ব্র্যান্ড ফেজার লিফট, বিভিন্ন ধরণের বই, মোটরসাইকেল টায়ার, কসমেটিকস, ডিপ লাইনার, আই লাইনার, ক্যাপিটাল মেশিনারি, মেশিনারি পণ্য, পিভিসি মেশিন, ডায়নামিক ব্যালেন্সিং মেশিন, খালি ড্রাম, ওয়্যার রোপ, চেইন ক্যাবল, ইলেকট্রিক স্ট্যাণ্ড ফ্যান, ওয়াল ফ্যান, ব্লক ও ব্লেড জাতীয় পণ্য, কম্বল এবং জিংক শিট।
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারে (সদর) কার্যালয় থেকেও মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। নিলামের দরপত্র ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়ে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগরী ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) কার্যালয়ে। একইদিন বেলা আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাঙ খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনূকুলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বন্দর ইয়ার্ড খালি করার উদ্দেশ্যে আমরা প্রত্যেক মাসে কমপক্ষে দুটি নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাননের হ্যাটট্রিকে প্রিমিয়ার লিগে কাস্টমসের শুভসূচনা
পরবর্তী নিবন্ধদাড়ি কামানোয় তালেবানের নিষেধাজ্ঞা