আগেই জানা ছিল এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে চট্টগ্রামের হয়ে চার/পাঁচটি ম্যাচ খেলবেন তামিম ইকবাল। আর সেটাই সত্যি হলো চারটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আর সে চার ম্যাচের দুটিতে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। দল জিতেছিল দুই ম্যাচে। গতকাল নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে তামিমকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল। তবে চট্টগ্রামের ক্রিকেটারদের অল রাউন্ড নৈপূন্যে দারুন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে ৪ রানে হারিয়েছে। এটি লিগে চট্টগ্রামের তৃতীয় জয়। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম ৬ পয়েন্ট নিয়ে। গতকালের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন চট্টগ্রামের মোমিনুল হক এবং ইরফান শুক্কুর। তামিমের অনুপস্থিতিতে মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথে ওপেন করতে নামেন মোমিনুল হক। ২৭ রানের মাথায় জয় ফিরেন ১১ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে দিপু এবং মোমিনুল মিলে যোগ করেন ৭৩ রান। ১৫ বলে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কায় ৩৫ রান করে ফিরেন দিপু। দশ রান পর ফিরেন মোমিনুল। ফেরার আগে ৩৬ বলে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ রান করে আসেন তিনি। এটি লিগে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। আগের চার ম্যাচে উল্লেখ করার মত তেমন কিছু নেই। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইরফান শুক্কুর। এই উইকেটরক্ষক ২৯ বলে ৫৪ রানের আরেকটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। যেখানে ৮টি চার এবং একটি ছক্কার মার ছিল। এরপর অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বির ১৪ বলে ১২ এবং নাঈম হাসানের ১০ বলে ২০ রানের সুবাদে ১৯৮ রানের বিশাল স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর পক্ষে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন সাব্বির হোসেন।
১৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় রাজশাহী। ইফরানের বলে বোল্ড হন ৪ রান করা শান্ত। এরপর হাবিবুর রহমান এবং সাব্বির হোসেন ৩৬ রান যোগ করেন। ২০ বলে ৩৯ রান করা হাবিবুরকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন আহমেদ শরীফ। তাওহিদ হৃদয়ের সাথে ৩৫ রান যোগ করে ফিরেন সাব্বির হোসেন। আহমেদ শরীফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে সাব্বির করেন ৮ বলে ১১ রান। এরপর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ১০২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন। ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠা এই জুটি ভাঙ্গেন আহমেদ শরীফ। মুশফিকুর রহিমকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিনত করেন এই পেসার। ফেরার আগে ৩১ বলে ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ রান করেন মুশফিক। এজুটি ভাঙ্গার পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। তবে দলকে টানছিলেন তাওহিদ হৃদয়। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৮৬ রানের মাথায় শেষ বাধা হিসেবে থাকা তাওহিদ হৃদয়কে ফেরান নাঈম হাসান। তার ৫০ বলে ৩টি চার এবং ৬টি ছক্কার সাহায্যে গড়া ৬৯ রানের ইনিংসটি পারেনি রাজশাহীকে জেতাতে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৯৪ রানে থামে রাজশাহী বিভাগের ইনিংস। আর চট্টগ্রাম বিভাগ পেয়ে যায় ৪ রানের রোমাঞ্চকর এক জয়। চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন আহমেদ শরীফ। ২৫ রানে ২টি উইকেট নেন নাঈম হাসান। ব্যাট হাতে ১০ বলে ২০ রানের পর ২৫ রানে দুই উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন নাঈম হাসান। আজ দুপুর সোয়া একটায় খুলনা বিভাগের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম তাদের ষষ্ঠ ম্যাচে।