তিনি নেই, আছে তাঁর কীর্তি

মর্জিনা আখতার | শুক্রবার , ৯ জুলাই, ২০২১ at ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

এই নশ্বর পৃথিবীতে কিছুই থাকবে না, কেউ থাকবে না। থাকবে শুধু মানুষের কীর্তি, সৃজনশীল মানুষের সৃষ্টি। কর্ম মানুষকে অমর করে, সু-আচরণ মানুষকে বিনয়ী করে, আত্মত্যাগ মানুষকে মহান করে, আত্মবিশ্বাস মানুষকে সফল করে। দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে যারা দাঁড়ায় তারা হয় জনপ্রিয় ও সম্মানিত। অতি সমপ্রতি প্রয়াত হয়েছেন সকলের প্রিয়জন কলামিস্ট গবেষক অতি সাধারণ সহজ সরল একজন মানুষ জনাব সাখাওয়াত হোসেন মজনু। তাঁর কাজগুলো ছিল অসাধারণ। তিনি সারা জীবনই ছিলেন মানব কল্যাণে নিবেদিত। তিনি সমাজের বিভিন্ন ঘটনা, ইতিহাস ঐতিহ্যের মূল্যবান বিষয়, স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা, দৈনন্দিন জীবনের কথা, কিশোর তরুণদের জন্য সুন্দর জীবন গঠনের দিক নির্দেশনা এবং যাপিত জীবনের নানামুখী তথ্য তাঁর প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কলামগুলোতে লিখতেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, “সহজ কথা যায় না বলা সহজে”। কিন্তু তিনি সবার হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছিলেন বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজভাবে উপস্থাপন করে। তাঁর প্রকাশভঙ্গী যেমন ছিল সাবলীল, তেমনি ছিল আকর্ষণীয়। “সামপ্রতিক চট্টগ্রাম ও দৈনন্দিন টুকিটাকি” শিরোনামে দৈনিক আজাদীতে প্রতি সোমবার এই কলামটির জন্য সম্মানিত পাঠকবৃন্দ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। হাসিখুশি, কর্মপাগল, প্রাণবন্ত, প্রজ্ঞাময়, মেধাবী ও পরিশ্রমী এই মানুষটির হঠাৎ অকালমৃত্যুতে শোকাহত হয়েছে সর্বস্তরের মানুষ, ডুকরে কেঁদেছেন চট্টগ্রামবাসী, দেশে বিদেশে সকল বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন। প্রিয়জনেরা হারিয়েছেন অভিভাবক-আপনজন, দুস্থ অসহায় মানুষ হারিয়েছেন নির্ভরতা-পরম বন্ধু। পরিবার প্রচণ্ড শোকে মর্মাহত হয়ে নিমজ্জিত হয়েছে গভীর শূন্যতায়। তাঁর স্মরণে মনে পড়ছে সেই অমর কবিতার দুটি চরণ…“এমন জীবন সবে করিবে গঠন, /মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন”।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনাকালের অর্জন
পরবর্তী নিবন্ধকরোনার টিকা আবিষ্কার এবং বিশ্বের দরিদ্র দেশসমূহ