রাঙ্গুনিয়ায় প্রবাসী সেকান্দর চৌধুরী মামুন (৪২) খুনের ঘটনার তিনদিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ভাই শাহাদাত হাছান মুরাদ বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি করেন। মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম উল্লেখ করে ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০–২৫ জনকে। এরমধ্যে মো. ওসমান গনি (২৮) নামে এজাহারভুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ওসমান উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম সরফভাটা গ্রামের মেহেরিয়া পাড়া এলাকার মো. হাবিব উল্লাহর ছেলে। গতকাল বুধবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মামুন উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের আলমগীর চেয়ারম্যান বাড়ির মরহুম মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি এক মাস আগে দেশে এসেছিলেন। সৌদি আরবের রিয়াদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মামুন।
জানা যায়, ৩০ নভেম্বর উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে ব্যাটারি অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই ঘটনার সমাধান করতে ১ ডিসেম্বর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক বসে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে বৈঠকে সিএনজি চালকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সেকান্দর চৌধুরী মামুন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। পরে দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রবাসী মামুন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও ৬ জন।
জানতে চাইলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, মামুন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।