গ্রাহকের করা এক মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত। তবে অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়াসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। খবর বিডিনিউজের। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক রোববার এ আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই ইশারত আলী জানান। অভিযোগপত্রের অপর দুই আসামি হলেন- ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আকাশ এবং ক্যাটাগরি হেড মোহাম্মদ আবু তাহের ওরফে সাদ্দাম। তবে ইভ্যালির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা এস এম আরিফ রেজা হোসাইন এবং এক্সিকিউটিভ মো. আবু তাইশ কায়েসকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া এদিন আদালতে হাজিরা দেন। তাদের সঙ্গে অন্য আসামিরাও উপস্থিত ছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই রাজিব হাসান গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এজাহারের বাকি পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয় সেখানে। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন মামলার আসামিরা। বাদীর অভিযোগ ছিল, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াও ইভ্যালির সাথে যুক্ত ছিলেন। তাদের উপস্থিতি ও তাদের প্রমোশনাল কথাবার্তায় প্রলুব্ধ হয়ে ওই কোম্পানিতে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালের মার্চে ইভ্যালির পণ্যদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা তাহসান রহমান খান। পরে গ্রাহকদের অসন্তোষ নিয়ে নানা খবরের মধ্যে তিনি ওই চুক্তি বাতিল করার কথা জানান। ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হওয়ার পর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ থাকা অভিনেত্রী মিথিলাও চুক্তি বাতিলের খবর দিয়েছিলেন। আর ওই ই কমার্স কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা শবনম ফারিয়া চাকরি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন।