তারুণ্য নিয়ে ফোর্বসের এশীয় সংস্করণে ৯ বাংলাদেশি

| শুক্রবার , ১৭ মে, ২০২৪ at ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

৩০ বছরের কম বয়সেই এশিয়াপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে যারা পরিবর্তন আনছেন এবং উদ্ভাবন করে যাচ্ছেন, এমন ৩০ তরুণ উদ্যোক্তা, নেতা ও উদ্ভাবককে নিয়ে ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া’র নবম সংস্করণ ঘোষণা করেছে প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিন। এ বছর এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন নয় বাংলাদেশি। খবর বাংলানিউজের। এদের পরিচয় তুলে ধরা হলো।

আনুশা আলমগীর :

আনুশা আলমগীর শিল্পকলা ক্যাটাগরিতে এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। আনুশা ২০২৩ সালে ভেনিসে ১৮তম আন্তর্জাতিক স্থাপত্য প্রদর্শনীতে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে অংশ নেন। মুসলিমদের পর্দানশীলতা প্রথার ওপর ভিত্তি করে তার তৈরি করা চলচ্চিত্র ‘পর্দা’ বেশ আলোচিত হয়। তিনি ‘কালার্স ঢাকা’ নামে একটি অনলাইন থ্রিফ্‌ট স্টোর প্রতিষ্ঠা করেছেন। আনুশা আলমগীর লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব আর্ট থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।

মেহেদী স্মরণ :

কনজিউমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন মেহেদী স্মরণ। তিনি গৃহকর্মীদের নিয়ে কাজ করা অ্যাপ ‘হ্যালোটাস্ক’র সহপ্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও অক্সফামের অনুদানও পেয়েছে। তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এক লাখ গৃহকর্মীকে তাদের প্লাটফর্মে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারা।

রেদওয়ান আহমেদ :

ফোর্বসের এই তালিকায় গণমাধ্যম, মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন রেদওয়ান আহমেদ। পেশায় তিনি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। রোহিঙ্গা সংকট ও পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে অন্যতম। রেদওয়ান আহমেদ স্থানীয় সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য কাজ করা ‘বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া’র সহপ্রতিষ্ঠাতা।

মো. শহিদুল ইসলাম, আব্দুল গাফফার সাদী ও মো. তুষার :

ফাইন্যান্স অ্যান্ডভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম, আব্দুল গাফফার সাদী ও মো. তুষার। তারা ‘দ্রুতলোন’ নামের ঢাকাভিত্তিক একটি স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা, যারা কাগজপত্র মূল্যায়ন করে সহজে ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায় জড়িতদের ঋণ পেতে সহায়তা করে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘দ্রুতলোন’ ২০ লাখ ডলারের বেশি ঋণ বিতরণ করেছে এবং এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৫ হাজার ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে।

সুলতান মনি ও মুমতাহিনা আনিকা :

ফিন্যান্স অ্যান্ডভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে এই তালিকায় আরও জায়গা পেয়েছেন সুলতান মনি ও মুমতাহিনা আনিকা। সুলতান মনি ও মমতাহিনা আনিকা ঢাকাভিত্তিক ফিনটেক স্টার্টআপ ‘জাতিক’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জাতিক ছোট কোম্পানিগুলোকে সহজে গ্রহণ করা যায় এমন সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টিং আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। জাটিক ডেকো ইশো ভেনচার ক্যাপিটালের নেতৃত্বে ১৬ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।

ফাহাদ আহমেদ :

ক্রসবর্ডার রেমিট্যান্স সেবা দেওয়ার অ্যাপ ‘উইন্ড ডট অ্যাপ’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ আহমেদও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ফাইন্যান্স অ্যান্ডভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে। স্টার্টআপটি ৩৮ লাখ ডলার তহবিল পেয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘ভিন্নষড়জ’ এর ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
পরবর্তী নিবন্ধমা ছেড়েছে দেশ