তারা যমজ ভাই। অপকর্মও করে একসাথে। সম্প্রতি চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে নিয়ে যায় দুই ভাই রোকন ও আরমান। পরে তারা ওই ছাত্রের বাবাকে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথামতো তার বাবা ‘নগদ’ অ্যাপসের মাধ্যমে সাড়ে নয় হাজার টাকা পরিশোধ করলেও তাকে না ছাড়ায় বাকলিয়া থানায় অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের সূত্র ধরে রোকনকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। বাকলিয়া থানার ওসি রুহূল আমীন আজাদীকে বলেন, অপহৃত কিশোর মাদামবিবির হাটের ইমাম হোসেন হেফজখানার ছাত্র। ৬ মার্চ সন্ধ্যায় চকরিয়ায় বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠতে সে শাহ আমানত সেতু এলাকায় মাইক্রোস্ট্যান্ডে এসেছিল। সেখানে রোকন ও তার ভাই আরমান ওই ছাত্রকে চাকরি করবে কিনা জানতে চায়। সে রাজি হওয়ায় তাকে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তার বাবার নম্বরে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে।
তিনি বলেন, যে নম্বর থেকে তারা মুক্তিপণ দাবি করেছিল সেটি ছিল চোরাই নম্বর। অভিযোগ পেয়ে আমরা মোবাইল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে জানিয়েছে দুই মাস আগে তার বাসা থেকে মোবাইল ফোনটি চুরি হয়। কিন্তু তার নামে নিবন্ধন না থাকায় থানায় অভিযোগ করেননি।
এর মধ্যে এক পর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরে রাতে ক্ষেতচরে অভিযান চালিয়ে রোকনকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি। রোকন জানিয়েছে, তারা দুই ভাই মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মামলায় আরমানকেও গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়ে ওসি বলেন, আরমান আগেও অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা ফের এ কাজ করে।