তামিমের ব্যাটে স্বস্তির প্রথম জয় খুলনার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

| বুধবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

এবারের বিপিএলে দলটা বেশ ভালই করেছিল খুলনা টাইগার্স। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেটা দেখাতে পারছিল না দলটি। তামিমরাব্বিদের নিয়ে গড়া দলটি হেরেই চলছিল একের পর এক। ঢাকায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর চট্টগ্রামে এসেও ভাগ্য বদলায়নি খুলনা টাইগার্সের। হেরে বসে সাকিবের বরিশালের কাছে। তবে চতুর্থ ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে খুলনা টাইগার্স। তামিম ফিরেছেন রানে। আর তাতে তার দলও পেয়েছে এবারের বিপিএলে প্রথম জয়। বল হাতে পাকিস্তানী ওয়াহাব রিয়াজ এবং আমাদ ভাটের দুর্দান্ত বোলিং আর তামিমের চমৎকার ব্যাটিং খুলনাকে এনে দিয়েছে প্রথম জয়। আন্তর্জাতিক টিটোয়েন্টি বিদায় বলে দেওয়া তামিম ঘরোয়া টিটোয়েন্টিতেও তেমন খেলেননি। তবে বিপিএলে তামিম জ্বলে উঠবেন তেমন প্রত্যাশা ছিল খুলনার।

কিন্তু আগের তিন ম্যাচে তামিমকে ঠিক তামিম রূপে দেখা যায়নি। অবশেষে তামিম ফিরলেন চেনারূপে। আর তাতেই প্রথম জয়ের দেখা পেল খুলনা টাইগার্স। গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তামিমের হাফ ঞ্চেুরির উপর ভর করে খুলনা টাইগার্স জিতেছে ৯ উইকেটে। নিজের মাঠে রানে ফেরায় স্বস্তিতে তামিম এবং সে সাথে দলও। কারণ দল যে পেয়েছে স্বস্তির জয়।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর রাইডার্স ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই হারায় রনি তালুকদারকে। নাহিদুলের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরেন রনি। পারভেজ হোসেন ইমন এবং নাঈম শেখ মিলে ২২ রান যোগ করেন। ১৩ রান করে নাহিদুলের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নাঈম। মেহেদী হাসানকে নিয়ে আরো ২৯ রান যোগ করেন ইমন। দলকে ৫১ রানে পৌঁছে দিয়ে ফিরেন ২৪ বলে ২৫ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হয়ে ফিরেন ইমন। এরপর মেহেদী হাসান একাই চেষ্টা করেন দলকে টেনে নেওয়ার।

কারন অপর প্রান্তে দুই পাকিস্তানী ওয়াহাব রিয়াজ এবং আমাদ ভাটের বোলিং তোপের মুখে পড়ে একের পর এক আসা যাওয়া করছিল রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। শোয়েব মালিক, শামীম পটোয়ারী, মোহাম্মদ নেওয়াজ এবং আজমতুল্লাহ কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। ফলে ১২৯ রানে থামে রংপুর রাইডার্সের ইনিংস। মেহেদী হাসান করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৩৮ রান। আর শেষদিকে ৭ বলে ১২ রান করেন রাকিবুল হাসান। খুলনা টাইগার্সের পক্ষে ১৪ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আমাদ ভাট। ২টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম।

১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনার দুই ওপেনার তামিম এবং মুনিম শাহরিয়ার ৪১ রান যোগ করেছিলেন। একাবর জীবন পেয়েও ২১ বলে ২১ রান করে ফিরেন মুনিম। ব্যাটিং লাইনে পরিবর্তন এনে মাহমুদুল হাসান জয়কে পাঠানো হয় তামিমের সাথে জুটি গড়তে। এই তরুণকে সঙ্গে নিয়ে তামিম এগিয়েছেন বেশ দৃঢ়তার সাথে। তুলে নেন নিজের ৪৫ তম টিটোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি। ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পুরন করেন তামিম। মেরেছেন ৪টি চার এবং ২টি ছক্কা। আজমত উল্লাহকে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন জয়। আর তাতে ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুৃলনা টাইগার্স। তামিম অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৬০ রান করে। অপরদিকে মাহমুদুল হাসান জয় অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৩৮ রান করে। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন আজমত উল্লাহ। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার লাভ করেন বল হাতে দারুন করা ওয়াহাব রিয়াজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১% ধনীর হাতে ভারতের ৪১% সম্পদ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৪২.২৭ কোটি টাকা