চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, তরুণরাই টেকসই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। তরুণদের সৃজনশীলতা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিই আগামী দিনের বাসযোগ্য বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে। আজকের বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানদানকারী প্রতিষ্ঠান নয় বরং উদ্ভাবন, নীতি প্রভাব এবং শিল্পখাতকে রূপান্তরিত করার চালিকাশক্তি। তিনি আরো বলেন, ভবন ও কমিউনিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে শুধু পরিবেশবান্ধবই নয় বরং মানুষের সুস্বাস্থ্যের সহায়ক, অর্ন্তভূক্তিমূলক ও টেকসই হওয়া উচিত। এ ধরনের লক্ষ্য অর্জনে স্থপতি, প্রকৌশলী, পরিকল্পনাবিদ ও গবেষকদের আন্তঃবিভাগীয় এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা অপরিহার্য। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘3rd International Conference on Green Architecture’ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এস. এম. নাজমুল ইমাম, কনফারেন্স সভাপতি ও বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার এবং বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবুন নাসরিন আহমেদ। কী-নোট স্পিকার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেনবোর্ন এর আর্কিটেকচার, বিল্ডিং এন্ড প্ল্যানিং ফ্যাকাল্টির সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসা নোগুচি এবং আরবানা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট আর কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। সমাপনী বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডসাং প্রু মারমা অপি এবং নাহরীন আহমেদ নক্ষত্র। উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের উক্ত কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চারগণ অংশ নেন। এতে ২জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












