তরুণদের সৃজনশীল কাজকর্মে যুক্ত থাকতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৬ মার্চ, ২০২১ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার খেলাধুলা বান্ধব। তিনি নিজেও একজন খেলাধুলা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা ভারতের মেয়েদের হারিয়ে দিয়ে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের যুব ক্রিকেট টিম বিশ্বকাপে জয় লাভ করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সরকার খেলাধুলা বান্ধব সরকার বিধায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তরুণদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলার আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীল কাজকর্মে যুক্ত থাকতে হবে। খেলাধুলার অনুপস্থিতির কারণে এখন আমাদের তরুণরা অনেক ক্ষেত্রে বিপথগামী হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত আসক্তির বিরূপ প্রভাবও পড়ছে আমাদের কিশোর তরুণদের উপর। সেজন্য এভাবে নানা ধরণের টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে খেলাধুলা চালু রাখা অত্যন্ত জরুরি।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির তালুকদার। খেলার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শিশু সদস্য আদেল সাদিক মাহমুদ। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার পুর্ননির্বাচিত মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সুখবিলাস ফিসারিজ এন্ড প্লান্টেশনের চেয়ারম্যান এরশাদ মাহমুদ, ইডেন ইংলিশ স্কুলের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, চান্দগাঁও শান্তিময় বিহারের অধ্যক্ষ বোধিশ্রী ভিক্ষু, উপজেলা শিশুকিশোর মেলার সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ রণি।
রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার কালিন্দীরানী সড়কের অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে, তবে সড়কটির কাজ আগামী এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে। এই রাস্তটি আরও বড় করে ১৮ ফুট প্রস্ত করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই সড়ক ও মরিয়মনগর ডিসি সড়কের প্রশস্তকরণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হবে ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আবু জাফর চেয়ারম্যান, আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, নুর কুতুবুল আলম, মুজিবুল হক হিরু, নাসির উদ্দিন সেলিম, জাহাঙ্গীর আলম, তালুকদার বাদশা, আবদুর রউফ মাস্টার, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, আবু তাহের, কাউছার নূর লিটন, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, মোহাম্মদ সেলিম, বদিউজ্জামান বদি, বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্র কর্তৃপক্ষের সদস্য নির্বাচিত
পরবর্তী নিবন্ধবাঘ থেকে কুমির বাদ নেই কিছুই