বান্দরবানে তরুণদের নির্মিত বিশ্বের ৩৫টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র নিয়ে তিনদিনব্যাপী গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ-২০২০ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা। দেশে চতুর্থবারের মতো এই আয়োজন। এতে সভাপতিত্ব করেন উৎসবের সমন্বয়ক আসমা আক্তার লিজা। উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিয়ং ইয়ং ম্রো, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মং নু চিং ও বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বম, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রোসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী নৃত্য ও গান পরিবেশন করে।
সিনেমা বাংলাদেশের সভাপতি প্রযোজক হেমন্ত সাদিক জানান, বিশ্বের ৭০টি দেশ থেকে এক হাজার ৪শর বেশি চলচ্চিত্র এবারের উৎসবে জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৩৫টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র। উৎসবে বিচারকদের রায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ৭টি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করা হবে তৃতীয় দিন সোমবার। এবার ৬৫টি স্বল্পদৈর্ঘ ছবি তৈরি করেছেন ১৪-২৮ বছর বয়সী তরুণরা। দেশব্যাপী চিন্তা ও সুযোগের ক্ষেত্র বিস্তারের জন্য জেলায় এ রকম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসবে এবার কোনো বিদেশি নির্মাতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বাংলানিউজ জানায়, উৎসবে নবীণ নির্মাতাদের সিনেমার পাশাপাশি স্বনামধন্য পরিচালক মোরশেদুল ইসলামের চলচ্চিত্র ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ এবং তানিম রহমান আশু পরিচালিত ‘ন ডরাই’সহ বিভিন্ন পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবের সব চলচ্চিত্র বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত।
